বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স খাত এগিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুনভাবে যুক্ত হলো এয়ার অ্যাস্ট্রা এয়ারলাইন্স। আশা করি, এয়ার অ্যাস্ট্রা যাত্রী সেবার মান এবং নিরাপত্তার মাধ্যমে দ্রুত সবার আস্থা অর্জন করবে। পাশাপাশি তারা তাদের ব্যবসায়ীক সফলতা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে এয়ার অ্যাস্ট্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, এয়ারলাইন্স খাতের আরও উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আরও নিরাপদ ও সুন্দরভাবে এয়ারলাইন্স পরিচালনার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ এগিয়ে চলছে। অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোতেও উন্নয়নের কাজ চলছে। 

এয়ার অ্যাস্ট্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, আমাদের এয়ারলাইন্স খাতে সার্ভিস পরিচালনা করতে নতুনভাবে যুক্ত হলো এয়ার অ্যাস্ট্রা যা যাত্রী সেবা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করি। এই খাতে এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি আমরা কাঠামোগত উন্নয়নের কাজ করেছি।

 

তিনি বলেন, একটি উন্নত দেশে পরিণত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যোগাযোগ ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। যোগাযোগ ব্যবস্থায় জাতীয় পতাকাবাহী বিমানের পাশাপাশি বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো অবদান রেখে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আজ এয়ার অ্যাস্ট্রার উদ্বোধনের মাধ্যমে আরও নতুন মাত্রা যুক্ত হলো।

তিনি আরও বলেন, এ দিনে আমি এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা যাত্রী সেবার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন। যাত্রী সেবার মাধ্যমেই আপনারা অন্যদের তুলনায় আরও বেশি এগিয়ে যেতে পারবেন। যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিলে এয়ার অ্যাস্ট্রা তাদের অপারেশন পরিচালনায় সফল হতে পারবে। সারা পৃথিবীতে ডোমেস্টিক ট্রিপ বেড়েছে এখানে যদি আপনার সর্বোচ্চ যাত্রী সেবা প্রদান করতে পারেন তাহলে আপনারা এগিয়ে থাকবেন।

অনুষ্ঠানে এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, প্রায় ৯ বছর পর বাংলাদেশে একটি নতুন এয়ারলাইন্স হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরে এয়ার অ্যাস্ট্রা গর্বিত। আমরা নিরাপদ যাত্রীসেবা ও সময়ানুবর্তীতার মাধ্যমে যাত্রীদের সবেচেয়ে পছন্দের ও নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এয়ার অ্যাস্টার উদ্বোধনের পাশাপাশি ফ্লাইট সূচি ও টিকিট বিক্রির কার্যক্রম (অফিসিয়াল ওয়েবসাইট) উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। 

জানা গেছে, আগামী ২৪ নভেম্বর সকালে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের ফ্লাইট পরিচালনার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করবে এয়ার অ্যাস্ট্রা। শুরুতে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ৩টি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার অ্যাস্ট্রা। পর্যায়ক্রমে দেশের সব অভ্যন্তরীণ রুটেই ফ্লাইট পরিচালনা করবে বলেও জানা গেছে।

এয়ার অ্যাস্ট্রা এরই মধ্যে ঢাকায় দুটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট ডেলিভারি নিয়েছে এবং আরও দুটি এয়ারক্রাফট চলতি বছরের মধ্যেই ডেলিভারি নেবে। ২০২৩ সালের মধ্যে এয়ার অ্যাস্ট্রার এয়ারক্রাফটের বহর ১০টিতে উন্নীত হবে। ফ্রান্সে নির্মিত এটিআর ৭২-৬০০ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক টার্বোপ্রপ প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্য এয়ারক্রাফট। এয়ারক্রাফটির আরামদায়ক কেবিন ৭০ জন যাত্রী বহন করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

এএসএস/এসকেডি