বরিশাল থেকে ঢাকাগামী একটি ক্যালিব্রেশন ফ্লাইট (প্রিসেশন ফ্লাইট) ঢাকায় জরুরি অবতরণ করেছে। মাঝ আকাশে ফ্লাইটের নোজ হুইল টায়ার বার্স্ট হওয়ায় (চাকা ফেটে যাওয়া) এটি জরুরি অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিচক্রাফট কিং এয়ার ৩৫০-এর একটি এয়ারক্রাফট দ্বারা ফ্লাইটটি পরিচালিত হচ্ছিল। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিমালিকানাধীন এয়ারক্রাফট। এতে মোট আসন সংখ্যা ১১টি। ঘটনার সময় ফ্লাইটটিতে শুধুমাত্র দুইজন পাইলট ছিলেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি ক্যালিব্রেশন ফ্লাইট ছিল, যা নিরাপদে অবতরণ করেছে।

বিভিন্ন যাত্রীবাহী বা অন্যান্য এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান প্রায়ই ক্যালিব্রেশন বা প্রিসেশন ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। এই ফ্লাইটে তারা বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল ইস্যু, ফ্লাইটের টেকনিক্যাল ইস্যু, রুটের দূরত্ব পরিমাপ, ফ্লাইটের খরচ, প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া নির্ধারণ, রুটের গড় আবহাওয়া ও বাতাসের ঘনত্ব ইত্যাদি পরিমাপ করা হয়।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ক্যালিব্রেশন ফ্লাইটটি দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ৩০ মিনিট পর চাকার ত্রুটির কারণে এটি জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেয়। দীর্ঘক্ষণ ঢাকার আকাশে চক্কর খেয়ে দুপুর দেড়টায় নিরাপদে অবতরণ করে।

এদিকে অবতরণের সময় যেকোনো বড় দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানবন্দরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট উপস্থিত ছিল। তবে তাদের কাজ করতে হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বরিশাল থেকে একটি ক্যালিব্রেশন ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমার্জেন্সি ল্যান্ড করার সংবাদ পেলে সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট পাঠানো হয়। ফ্লাইটটি ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতিতে নিরাপদে ল্যান্ড করেছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এআর/জেডএস