বাংলাদেশের ফ্লাইট পরিচালনাকারী সব এয়ারলাইন্সকে তাদের পাইলটদের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ যাচাই করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সেগুলো বেবিচকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এ ধরনের একটি চিঠি ইস্যু করে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক। চিঠিটি দেশের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, এয়ার অ্যাস্ট্রা, চার্টার্ড ফ্লাইট, হেলিকপ্টার ফ্লাইট পরিচালনাকারী ও ফ্লাইং একাডেমিকে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিটি ইস্যু করেন বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্সের সদস্য এয়ার কমোডোর শাহ কাওসার আহমেদ চৌধুরী।

চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৩১ মের মধ্যে সব অপারেটর তাদের পাইলটদের এসএসসি এবং এইচএসসি সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করে জমা দেবে। এছাড়াও পাইলটদের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের ক্ষেত্রে দুইটি বিষয় উল্লেখযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, পাইলটকে অবশ্যই এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে এবং তার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।

দ্বিতীয়ত, পাইলটকে অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগ (পদার্থ বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ) থেকে এইচএসসি পাশ করতে হবে এবং সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

বেবিচকের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদ এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে পাশ করেও বিজ্ঞান বিভাগের জ্বাল সনদ দিয়ে পাইলটের লাইসেন্স নেন। পরে তাকে বিমানে নিয়োগ দেওয়া হলে এতে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মানবিক বিভাগে পড়াশোনা করে বিমানের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এয়ারক্রাফটের ‘পাইলট’ হন সাদিয়া ইসলাম। কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞান, গণিতের মতো বিষয়ে পড়াশোনা না করে তিনি কীভাবে পাইলট হলেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন ওঠাসহ সাদিয়ার নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পরবর্তীতে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাকে সরিয়ে দেয় বিমান। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে বেবিচক ও বিমান।

এআর/এফকে