দেশের এভিয়েশন খাত জিডিপিতে ৩.৬ শতাংশ অবদান রাখে বলে জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান।

রোববার (১৯ মার্চ) হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ মনিটর ও টেকনোনেক্সটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জব অ্যান্ড ক্যারিয়ার ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এম মফিদুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পূর্তিতে প্রথমবারের মতো এমন একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে এভিয়েশন খাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের চারটি এয়ারলাইন্স রয়েছে। এছাড়া ৩০টি আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল করে। পাশাপাশি ৫৩টি দেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে যাত্রীদের সংখ্যাও। বর্তমানে এভিয়েশনে যাত্রীর সংখ্যা ৮০ লাখ। আশা করা হচ্ছে ২০৩৫ সাল নাগাদ সেটি দ্বিগুণ হয়ে ১ কোটি ৬০ লাখে পৌঁছাবে।

চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রতি ১ হাজার জন যাত্রীর জন্য গড়ে ৪-৫ জন বিমানকর্মীর প্রয়োজন হয়। আকাশপথে যারা চলাচল করে তাদের ৬০ শতাংশ হচ্ছে ট্যুরিস্ট। ৩৫ শতাংশ যাতায়াত করে ব্যবসায়িক কাজে। অর্থাৎ যে পরিমাণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে সেটি পরিচালনা করার জন্য প্রচুর জনবল দরকার। সে লক্ষ্যে এভিয়েশন ইউনিভার্সিটি করা হয়েছে,কলেজ পর্যায়ে পাঠদান করা হচ্ছে। ট্যুরিজম ও এভিয়েশন একে অপরের সঙ্গে জড়িত। আমরা আশা করি এভিয়েশন খাত ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফখরুল ইসলাম ও দ্য বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম।

কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, যারা এভিয়েশন, আতিথেয়তা ও ভ্রমণ শিল্পে ক্যারিয়ার করতে আগ্রহী তাদের জন্যই এই মেলা। দেশের ক্রমবর্ধমান ভ্রমণ শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন। এই মেলাটি একটি সময় উপযোগী পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এই সেক্টরে আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে।

১৯-২০ মার্চ দুইদিনব্যাপী আয়োজিত জব অ্যান্ড ক্যারিয়ার মেলায় ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে যোগ দিতে আগ্রহীরা চাকরিদাতাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ ও সিভি জমা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এবারের মেলায় এয়ারলাইন, হোটেল ও ট্রাভেল এজেন্সিসহ ৪৬টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।

এছাড়া মেলায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তিনটি ক্যারিয়াস গাইডেন্স সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য মেলাটি উন্মুক্ত থাকবে।

ওএফএ/কেএ