ঝুলিতে আছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কয়েকটি বিশেষ স্বীকৃতি; সবশেষ একজন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে মালদ্বীপের সিভিল এভিয়েশন অথরিটিকে অডিট করেছেন; বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলেছেন অনন্য উচ্চতায়- তিনি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের কর্মকর্তা এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেশন্স সেলের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ সফিউল আজম।

বেবিচক জানায়, সর্বশেষ মে মাসের ২০ তারিখ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আমন্ত্রণে একজন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে মালদ্বীপের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে অডিট ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া জন্য মালদ্বীপ যান সফিউল আজম। সাত দিনব্যাপী তাদের অডিট ও এ সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়ে পরামর্শ দেন তিনি। অডিটে উঠে আসা নানা সমস্যা সমাধানের উপায়ও দেখিয়েছেন তিনি।

বেবিচক আরও জানায়, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও) এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন উভয় প্রতিষ্ঠানের এভিয়েশন সেফটি রেগুলেশন্স বিশেষজ্ঞ হিসেবে বাংলাদেশের একমাত্র স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি সফিউল আজম। একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি আগেও ভারত ও মালদ্বীপের এভিয়েশন কার্যক্রমের ওপর অডিট করেছেন। এই দুই দেশকে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন রেগুলেশন্সের সঙ্গে অধিকতর সামঞ্জস্য থাকার ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন।  

এ ধরনের অর্জনকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমাদের কয়েকজন সহকর্মী রয়েছেন যারা আন্তর্জাতিকভাবে অডিটর হিসেবে স্বীকৃত এবং রিসোর্স পার্সোনেল হিসেবে আইকাওয়ের এনলিস্টেড। এতেই বুঝা যায়, তারা কতটা কোয়ালিফাইড। তারা যখন বিভিন্ন জায়গায় যান নিঃসন্দেহে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনেন।

বেবিচক জানায়, মোহাম্মদ সফিউল আজম তার একক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের জন্য বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানের রেগুলেশন্স তৈরি করেছেন, যা সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। সেই রেগুলেশন্স মেনেই বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সফিউল বিমান বাহিনীর প্রকৌশল প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনেন, সার্টিফিকেশন্স কার্যক্রমের নানা পদক্ষেপে প্রশংসিত হন সর্বমহলে।

বর্তমানে বেবিচকের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ফ্যাকাল্টি হিসেবেও কাজ করছেন তিনি।

এআর/এসএম