ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৬ মার্চ ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাকে বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সেদিন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

মোদি বাংলাদেশে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই ভিভিআইপি ফ্লাইটটির পাইলট ও ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগের অডিও রেকর্ড ইউটিউব এবং ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে নড়েচড়ে বসে ঢাকা এটিসি কর্তৃপক্ষ।

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রয়েল বেঙ্গল এভিয়েশন নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে ফ্লাইটটি অবতরণের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি ভিডিওর সঙ্গে রিয়েল টাইম এটিসির কথোপকথনের অডিও দেওয়া হয়। মোদিকে বহনকারী বিমানের গতিপথ ও আবহাওয়া নিয়ে ঢাকা এটিসির সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটের যোগাযোগের কিছু অংশ ছিল অডিওতে।

এ বিষয়ে ৬ মে বাংলাদেশ বেসমরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) একটি সভা করে এবং রয়েল বেঙ্গল এভিয়েশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেবিচকের এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে তিনি রয়েল বেঙ্গল এভিয়েশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বলেন।

অডিওটির বিষয়ে রয়েল বেঙ্গল এভিয়েশন জানায়, আমাদের ভিডিও কন্টেন্টের মূল আকর্ষণ ছিল এটিসি। সঙ্গত কারণে ভবিষ্যতে আমরা কোনো ভিডিওর সঙ্গে এটিসির কথোপকথন দিচ্ছি না। এটিসি ও পাইলটের কথোপকথন শুনতে আকর্ষণীয় লাগলেও এটার সঙ্গে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। বিশেষ করে এ কারণে বেবিচক এবং বিটিআরসি আমাদের ওপর নাখোশ, আমরা যেকোনো সময় আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেলটি হারাতে পারি। আমাদের সঙ্গে এতদিন থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এদিকে এটিসির অডিও সোর্স নিয়ে রয়েল বেঙ্গল এভিয়েশনের সঙ্গে ঢাকা পোস্টের সম্প্রতি কথা হয়েছিল। রয়েল বেঙ্গল জানায়, তারা লাইভএটিসি ডট নেট (liveatc.net) নামের একটি ওয়েবসাইটে অডিওগুলো পায়। সোমবার (১০ মে) ভোরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  পর্যন্ত ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজটি চালু ছিল। 

এআর/এইচকে