আগামী ২৯ মে থেকে সৌদিগামী সব ফ্লাইট পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

রোববার (২৩ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২০ মে থেকে সৌদিগামী সব ফ্লাইট স্থগিত করে বিমান।

তাহেরা খন্দকার জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সৌদি আরবে হোটেল ও কোয়ারেন্টাইন প‍্যাকেজ সুবিধা নিশ্চিত করে আগামী ২৯ মে থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। সৌদিগামী যাত্রীদের হোটেল বুকিংসহ কোয়ারেন্টাইন প‍্যাকেজ ও বিমানের আসন সংরক্ষণের জন‍্য যাত্রীদের নিকটস্থ বিমান সেলস কাউন্টারে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, যাত্রীদের ভিসার মেয়াদের ওপর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীদের আসন বণ্টন করা হবে। অর্থাৎ যাদের ভিসার মেয়াদ শেষের দিকে তারা আগে টিকিট পাবেন।

সৌদি কর্তৃপক্ষের হোটেল কোয়ারেন্টাইনসহ বিভিন্ন শর্তারোপের কারণে ২০ মে থেকে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটি সৌদি আরবগামী সব ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত রাখে। বর্তমানে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের দাম্মাম, রিয়াদ ও জেদ্দা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান।

সৌদি সরকারের বিধিনিষেধ

সম্প্রতি এক আদেশে, ২০ মে থেকে বাংলাদেশ থেকে সৌদিগামী প্রবাসী শ্রমিকদের প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সরকার। 

যারা করোনাভাইরাসের টিকা নেননি, তারা সৌদি আরবে প্রবেশ করলে সাত দিন হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে হোটেলের খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, সে দেশে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এলেই কেবল ঢাকা থেকে যাত্রীরা ফ্লাইটে উঠতে পারবেন। সৌদিতে পৌঁছানোর পর আরও দুবার করোনা পরীক্ষা করতে হবে। 

প্রথমবার পরীক্ষা করতে হবে সৌদি আরবে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ষষ্ঠ দিনে আবারও করোনা পরীক্ষা করা হবে। করোনা পরীক্ষা করার খরচ যাত্রীকেই বহন করতে হবে। দুবার পরীক্ষা নেগেটিভ রিপোর্ট এলে হোটেলে কোয়ারেন্টাইন থেকে সপ্তম দিন বাসায় যাওয়া যাবে।

এছাড়াও যারা পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে ফাইজার-বায়োএনটেকের দুই ডোজ, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ, মডার্নার দুই ডোজ এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার এক ডোজ যারা নিয়েছেন তারা হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার বদলে বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার সুবিধা পাবেন।

প্রথমবারের মতো সৌদি প্রবাসীদের সে দেশে যাওয়ার আগে হেলথ ইন্স্যুরেন্স করাতে হবে। করোনা হলে ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা ব্যয় বহন করার বিষয়টি ইন্স্যুরেন্সে স্পষ্ট থাকতে হবে। 

ভ্রমণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তি হিসেবে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছে সৌদি সরকার। এ সংক্রান্ত এক আদেশে বলা হয়েছে, কেউ যদি করোনাভাইরাস ছড়ায় তাকে ৫ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ ৫ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। যদি সেই ব্যক্তি প্রবাসী হন, তবে তাকে শাস্তি দেওয়ার পর সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত করা হবে। তিনি আর কোনো দিন সৌদি আরবে আসতে পারবেন না।

এআর/আরএইচ