ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার ও ঈদের দিন শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে মোট ৫ হাজার ১১৮ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। এই দুই দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৪৩টি ফ্লাইট দেশে অবতরণ করে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অধিদফতর জানায়, ঈদের দিন ১৪ মে বিমানবন্দরে মোট ২১টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ২ হাজার ৭৫৭ জন। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৩৬১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন এবং ৩৯৬ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার ২২টি ফ্লাইটে দেশে আসেন ২ হাজার ৯২৬ জন। তাদের মধ্যে ৩৪১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক ও ২ হাজার ৫৮৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এক সার্কুলারে যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ থেকে এলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

বেবিচকের সার্কুলার অনুযায়ী অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, অ্যাস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, পেরু, কাতার, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, উরুগুয়ে, নেপাল, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, তিউনিসিয়া থেকে ফিরলে হোটেলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এছাড়াও বাহরাইন, কুয়েত, কাতার থেকে ফিরলে ৩ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও ৩ দিন পর করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলে পরবর্তী ১১ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এছাড়াও উপরে উল্লেখিত দেশগুলো ছাড়া অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরলে যাত্রীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এআর/জেডএস