২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের কাছে শূন্য ট্যাক্সের বাস্তবায়ন চায় এভিয়েশন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। জেনারেল এভিয়েশন ও দেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের (এওবি) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) একটি প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবে করপোরেট ট্যাক্স ৩২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২.৫ শতাংশে আনার কথা বলা হয়েছে।

এওবির সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ারের এমডি মফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী বাজেটে সরকারের কাছে আমরা শূন্য ট্যাক্সের বাস্তবায়ন চেয়েছি। আমরা চাচ্ছি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন ও এর যন্ত্রাংশ যেন এয়ারলাইন্সগুলো শূন্য শুল্কে ছাড় করতে পারে। কোনো অজুহাতেই যেন এটির ওপর অযৌক্তিক কর চাপিয়ে দেওয়া না হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা একটি সুনির্দিষ্ট এসআরও জারি করতে অনুরোধ করেছি।

এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য এওবির পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রস্তাবে এওবি জানায়, এয়ারক্রাফট অথবা হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক সচল রেখে নিরাপদ উড্ডয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অতি অল্প সময়ে যন্ত্রাংশ আমদানি করা অপরিহার্য। নতুন বা অচল এয়ারক্রাফটের ক্ষেত্রে অপারেটররা বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অনুরূপ বেসরকারি এভিয়েশন অপারেটরদের জন্য কেন্দ্রীয় বন্ডেড ওয়ারহাউজ সেবা স্থাপন করার সুপারিশ করছি।

অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জারি করা এএনওবি ২১কে স্বীকৃতি দিয়ে ২০ বছর পর্যন্ত পুরনো যাত্রীবাহী, ৩০ বছর পর্যন্ত পণ্যবাহী এবং ৩৫ বছর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ আমদানির ব্যাপারে একই নিয়ম সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা। অভ্যন্তরীণ রুটে এভিয়েশন জ্বালানি তেলের (জেট ফুয়েল) ওপর ভ্যাট ও ট্যাক্স মওকুফ। এ্যারোনটিক্যাল/নন-এ্যারোনটিক্যাল চার্জের ওপর আরোপিত ১৫% ভ্যাট শূন্যতে নামিয়ে আনা। চার্টার্ড বিমান ও হেলিকপ্টার পরিবহনের ওপর ৩০ শতাংশ সার্ভিস ডিউটি কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং ভ্যাট ছাড় দেওয়া।

এছাড়া এয়ারলাইন্স ও এভিয়েশন অপারেটরদের ওপর বর্তমানে আরোপিত ৩২.৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স হার কমিয়ে ২২.৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আগামী ৩ জুন ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার কথা রয়েছে।

এআর/এসএসএইচ