সরকারি বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় ১৪ দিন পর পুরোদমে চালু হলো দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল। এতদিন সীমিত পরিসরে কেবল প্রবাসী ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্যই ফ্লাইট চালু ছিল। সরকার ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আজ থেকে পুরোদমে চালু হয়েছে ফ্লাইট

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে ৩টি, যশোরে ২টি, রাজশাহীতে ১টি, চট্টগ্রামে ২টি, সিলেটে ২টি, কক্সবাজারে ১টি এবং বরিশালে ১টি ফ্লাইট গেছে। এছাড়া নভোএয়ার চট্টগ্রামে ২টি, কক্সবাজারে ১টি, সৈয়দপুরে ৩টি, বরিশালে ২টি, রাজশাহীতে ১টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও চার থেকে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, যাত্রী ওঠার আগে এয়ারক্রাফটগুলো জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

গত ১ জুলাই থেকে সরকারের পক্ষ থেকে আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধের কারণে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বেবিচক। তবে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে তাদের জন্য সীমিত পরিসরে ২ জুলাই থেকে ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়া হয়।

১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করায় আবারও ফ্লাইট চালু হয়েছে। এই সময়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ৫টি, কক্সবাজারে ২টি, সৈয়দপুরে ৭টি, যশোরে ৬টি, সিলেট-বরিশাল ও রাজশাহীতে ৪টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

নভোএয়ার চট্টগ্রামে ৬টি, সৈয়দপুরে ৬টি, যশোরে ৬টি, বরিশালে ৬টি, সিলেটে ৩টি, রাজশাহীতে ৩টি ও কক্সবাজারে ২টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চট্টগ্রামে ৩টি, সৈয়দপুরে ৩টি, কক্সবাজারে ২টি, যশোরে ২টি, সিলেটে ২টি, রাজশাহীতে ১টি ও বরিশালে ১টি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

আগামী ২৩ জুলাই থেকে দেশে শুরু হবে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। ওই সময়ে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল আবারও বন্ধ থাকবে।

এআর/এমএইচএস/জেএস