সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে ট্যুরিস্ট (ভিজিট) ভিসা নিয়ে যারা কাজের উদ্দেশে যারা যেতে চাইবেন, তাদের বিমানবন্দরেই আটকে দেবে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন। কোনো যাত্রী ‘কাজের উদ্দেশ্যে’ দুবাই যাচ্ছেন- টের পেলেই আটকে যাবে তার ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে আদেশটি কার্যকর করা হবে।

সম্প্রতি বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালেহ মুহাম্মদ জাকারিয়া স্বাক্ষরিত আদেশে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপির (মো. মনিরুল ইসলাম) নির্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আদেশে বলা হয়েছে, ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে যেসব বাংলাদেশি যাত্রীরা দুবাই যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসবেন, তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হবে না। শুধুমাত্র প্রকৃত ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে ভ্রমণ ভিসা দিয়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা যাবে। প্রকৃত ভ্রমণকারী বলতে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সংসদ সদস্য (এমপি), মন্ত্রী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবীদের বুঝানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, যেসব যাত্রী দুবাইয়ে কাজের ভিসা অথবা রেসিডেন্স পারমিট নিয়ে যাবেন, তাদের ইমিগ্রেশন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা যেতে পারে। এছাড়া যাদের বৈধ রেসিডেন্স ভিসা/কাজের ভিসা (বিএমইটি কার্ড) আছে, তাদের ইমিগ্রেশন বিভাগে দুবাই যেতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না।

ইমিগ্রেশন বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কারও সঙ্গে ৩০ সেকেন্ড কথা বললেই তার দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্য জানতে পারব। এজন্য আমাদের এ আদেশ বাস্তবায়নে বেগ পেতে হবে না। 

এআর/এসএসএইচ