দেশে ফেরার সময় বিদেশ থেকে কিছু নিয়ে আসেন না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। কেউ স্বজনদের জন্য আনেন। কেউ আবার ভালো দাম পেলে সেগুলো বিক্রি করে দেন। তবে আইন মেনে পণ্য না আনলে অনেকক্ষেত্রেই বিমানবন্দরে প্রবাসীদের এসব মালামাল জব্দ করা হয়।

বিদেশ থেকে জিনিস আনার ক্ষেত্রে যাত্রীদের ‘প্যাসেঞ্জার ব্যাগেজ রুলস-২০১৬’ মানতে হবে। এতে বিভিন্ন পণ্যের বহন করার নিয়ম উল্লেখ করা আছে।

বিদেশ থেকে মদ ও মদ জাতীয় পানীয় আনার বিধান

প্যাসেঞ্জার ব্যাগেজ রুলস-২০১৬ অনুযায়ী, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের জন্য বিদেশ থেকে মদ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আনলে তা বিমানবন্দরেই আটক করবে কাস্টমস। তবে বিদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিক হলে সে ২ বোতল বা সর্বোচ্চ ১ লিটার পর্যন্ত মদ আনতে পারবেন। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটকে দেবে। এক্ষেত্রে আটক হওয়া মদের বিপরীতে ওই বিদেশি নাগরিক সফটওয়্যার প্রিন্টেড আটক রশিদ বুঝে নেবেন। আটক মদ বিধি অনুযায়ী বিক্রি বা ধ্বংস করা হবে। তবে এটি ফেরত পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

মোবাইল ফোন

ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন যাত্রী নিজের ব্যবহৃতসহ সর্বমোট ২টি মোবাইল ফোন শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। এছাড়াও শুল্ক-করাদি পরিশোধ করে মোবাইল আনতে পারবেন সর্বোচ্চ ৮টি। সেক্ষেত্রে তাকে ফোনের ক্রয়মূল্যের ওপর প্রায় ৫৫.৬০% শুল্ক দিতে হবে। তবে ৮টির বেশি মোবাইল আনলে কাস্টমস তা আটক করবে।

মোবাইল আটক করা হলে যাত্রীকে সফটওয়্যার প্রিন্টেড আটক রশিদ দেওয়া হবে। আটক মোবাইলগুলো অ্যাডজুডিকেশন প্রক্রিয়ায় শুল্ক-করাদি এবং অর্থদণ্ড পরিশোধ করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স রেগুলেটরি কমিশন-বিটিআরসির দফতরের ছাড়পত্র নিয়ে ফেরত পেতে পারেন।

উল্লেখ্য, জরিমানার অংক সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত না থাকলেও এটি মোবাইল ফোনের ক্রয়মূল্যের সর্বোচ্চ ১০ গুন পর্যন্ত হতে পারে।

ল্যাপটপ

ব্যাগেজ রুল অনুযায়ী, একজন যাত্রী শুল্কমুক্ত হিসেবে একটি ল্যাপটপ আনতে পারবেন। ২টি আনতে তাকে ল্যাপটপের ক্রয়মূল্যের ১৬% শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। তবে জরিমানা ও কর দিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় এটি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এআর/এমএইচএস