পাঁচ লাখ টাকায় তোতা পাখি
জামাল সাহেব নিলামে একটা তোতা পাখি কিনবেন। নিলাম শুরু হলো। জামাল দাম হাঁকালেন ১০ হাজার টাকা।
ভিড়ের মধ্যে চিকন গলায় কে যেন বলল, ‘৫০ হাজার টাকা।’ জামাল সাহেবের মেজাজ বিগড়ে গেল। ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার?

কোন বড়লোকের ব্যাটা তোতাটা নিতে পারে, তিনি দেখে ছাড়বেন। জামাল বললেন, ‘এক লাখ টাকা।’ চিকন গলা আবার বলল, ‘দুই লাখ।’ জামাল এবার ক্ষেপেই গেলেন। বললেন, ‘পাঁচ লাখ।’ কান পাতলেন, নাহ, এবার আর কেউ পাল্টা দাম হাঁকাল না।

তোতা পাখিটা হাতে নিয়ে জামাল নিলামের সঞ্চালককে বললেন, ‘এটা কথা বলতে পারে তো? নইলে এত দাম দিয়ে কিনলাম কেন?’ নিলাম সঞ্চালক বললেন, ‘কথা বলতে পারে না মানে? আপনার কী মনে হয়? এতক্ষণ কে আপনার সঙ্গে পাল্টা দর হাঁকাচ্ছিল!’

***

জাদুর প্রভাব আছে
বল্টু বইয়ের দোকানে গেছে বই কিনতে-
বিক্রেতা : স্যার, এ বইটা নিয়ে যান। এটা একটা ভয়ের বই। এতে কালো জাদু সম্পর্কে লেখা আছে!
বল্টু : দাম কত?
বিক্রেতা : তিন হাজার টাকা।
বল্টু : এইটুকু পাতলা বইয়ের এত দাম!
বিক্রেতা : জ্বি, স্যার! এ বইতেও কালো জাদুর প্রভাব আছে। ভুলেও এ বইয়ের শেষ পৃষ্ঠাটা খুলবেন না! খুললেই আপনি জ্ঞান হারাবেন!

কৌতুহল সামলাতে না পেরে বইটি কিনল বল্টু। পুরো বইটা পড়লেন, কিন্তু শেষ পৃষ্ঠা খুললেন না। একদিন সাহস করে শেষ পৃষ্ঠাটা উল্টে দেখল। তাতে লেখা আছে, ‘সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য ৩০ টাকা।’ বল্টু জ্ঞান হারাল।

***
দু’জনই ছেলে
অনামিকা ও অনিন্দিতা নামে দু’টি মেয়ে ফেসবুকে ফ্রেন্ড হল। তাদের মধ্যে নিয়মিতই মেসেজিং চলতে থাকল। এভাবে বেশ কয়েকদিন কথা হওয়ার পর তারা খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেল।

এরপর তারা একজন আরেকজনের মোবাইল নম্বরও নিল। অবশেষে একদিন তারা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে গেল।

দেখা করতে গিয়ে দেখা গেল... দু’জনই ছেলে।