গরুকে মানুষ বানানো
ছাত্র : স্যার, আমাগো গরুটারে মানুষ বানাইয়া দেন। এইটায় খাইতে চায় না। হালচাষে যাইতে চায় না। কামে নিতে গেলেই শুইয়া পড়ে। এইটারে একটু মানুষ বানাইয়া দেন স্যার।
শিক্ষক : বেটা বেয়াদব। আমি কি গরুর ডাক্তার, না গরুর শিক্ষক? ফাজলামির আর জায়গা পাস না। বেয়াদব কোথাকার।
ছাত্র : স্যার, আপনি না ক্লাসে আমাগোরে পিটানোর সময় কন- জীবনে আপনি বহুত গরুরে মানুষ বানাইয়া ছাড়ছেন। সেইটা চিন্তা কইরাই।

****

গোল হওয়া ছাড়া উপায় নেই
শিক্ষক : বল তো পৃথিবীর আকার কী রকম?
ছাত্র : গোলাকার, স্যার।
শিক্ষক : বেশ বেশ! এবার প্রমাণ দাও- কী করে বুঝলে যে পৃথিবী গোল।
ছাত্র : জোরালো প্রমাণ আছে স্যার। প্রথম সাপ্তাহিক পরীক্ষায় পৃথিবী চ্যাপ্টা লিখে শূন্য পেয়েছি। দ্বিতীয় সাপ্তাহিক পরীক্ষায় চৌকোনা লিখেও শূন্য পেলাম। তারপর লিখলাম পৃথিবী লম্বা, তাও আপনি কেটে দিয়েছেন। শেষে অনেক ভেবে-চিন্তে লিখেছিলাম তিনকোণা, তাও আপনি কেটেই দিলেন। তা হলে আর বাকি রইল কী? গোল হওয়া ছাড়া পৃথিবীর আর তো কোনো উপায় দেখতে পাচ্ছি না।

***
গাল দুটো ইস্ত্রি করছি
এক দুষ্টু পিচ্চি ছেলে এসে তার মাকে বলল-
পিচ্চি : মা, আমরা ইস্ত্রি করি কেন?
মা : কোঁচকানো জিনিস প্লেইন করার জন্য।

একটু পরে পিচ্চির দাদির রুম থেকে ভয়ংকর একটা চিৎকার শোনা গেল! পিচ্চির মা রান্নাঘর থেকে বলল-
মা : কি হয়েছে?
পিচ্চি : দাদির গাল দুটো ইস্ত্রি করছি!

****

না দিলে নাইমা যাই
এক মহিলা দুই বাচ্চা নিয়ে বাসে উঠল। বাচ্চা দুটি কান্নাকাটি শুরু করল! তখন মহিলাটি তার বাচ্চাদের কান্না থামাতে বলছে-
মা : দেখ কান্নাকাটি করলে কিন্তু ওই আঙ্কেলকে তোমাদের চকোলেটগুলো দিয়ে দেব!

এই কথা সে ক্রমাগত বলে যাচ্ছে। তিন-চার স্টপেজ পার হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চারা কান্নাকাটি করে আর সে শুধু বলে চকোলেটগুলো কিন্তু আঙ্কেলকে দিয়ে দেব!

এবার ভদ্রলোক উঠে বলল-
ভদ্রলোক : আপনার জন্য ৪টা স্টপেজ মিস করলাম! চকোলেট দিলে দেন, না দিলে নাইমা যাই।