আগামী ১২ মার্চের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আলটিমেটাম দিয়ে সড়ক ছেড়েছে এইচএসসি ২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে নীলক্ষেত মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের সহযোগী সমন্বয়ক মহিদুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, আগামী ১২ মার্চের মধ্যে দ্বিতীয়বার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা দিতে হবে। না হয় ১৩ মার্চ থেকে আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন তারা। অবরোধের ফলে বন্ধ হয় যায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের যানচলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নানা কাজে বের হওয়া মানুষ।

আন্দোলনকারীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় নীলক্ষেত মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আন্দোলনের সমন্বয়ক সংগ্রাম খান বলেন, আমরা গত তিন মাস ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেকেন্ড টাইম দেওয়ার বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছে না। আমাদের দাবির পক্ষে ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসি এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকও সমর্থন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় জাহাঙ্গীরনগর ও মেডিকেলে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাহলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেন থাকবে না? অতিদ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। না হলে আমরা ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবকসহ সমাজের বিবেকবান মানুষদের সঙ্গে নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।

শিক্ষার্থীদের অবরোধ ছেড়ে দেওয়ার পর সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবি জানিয়েছে আমরা সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়টি সম্পূর্ণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমরা শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বুঝিয়েছি। তারা আমাদের কথায় সড়ক ছেড়ে দিয়েছে।

আরএইচটি/এসএসএইচ