ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ, মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ‘শতবর্ষের মিলনমেলা’ অনুষ্ঠিত হবে।

মিলনমেলায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে বিশ্বের ২৫টি দেশে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ হাজার ৩৩৭ জন সদস্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। বিশ্বের ২৫টি দেশের অ্যালামনাই এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার বলেন, অনুষ্ঠানে আমাদের সংগঠনের জীবন সদস্যরা পরিবারসহ উপস্থিত থাকবেন। আমরা প্রত্যাশা করছি বিশ্বের ২৫টি দেশের অ্যালামনাই আমাদের অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে আমাদের অনেকগুলো প্রকাশনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি আগামী ১২ তারিখ আনন্দ-উল্লাসে, শপথে-অঙ্গীকারে আমরা আমাদের মিলনমেলা সম্পন্ন করতে পারব।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে পৌঁছানোর কথা ছিল সেখানে আসতে পারেনি। আমরা দেখেছি বিশ্বের ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিংয়ে আমাদের ঢাবি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ র‍্যাংকিংয়ের ভেতরে আনতে আমাদের সংগঠন কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাড়লেও সেগুলোর ধারণক্ষমতা ও সক্ষমতা বাড়েনি। তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী অর্থাভাবে যথাযথভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে না। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন তাদের জন্য কাজ করবে।

তিনি বলেন, আমরা বছরে সাড়ে তিন কোটি থেকে চার কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চের জন্য যে বাজেট প্রয়োজন সে পরিমাণ বাজেট সরকার থেকে আসছে না। আমরা সেখানে ‌অনুদান দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ৯৩৩৭ জন সদস্য এবং তাদের স্ত্রীসহ ১১৩২৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। যারা যারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি তারা সবাই রেজিস্ট্রেশন করবেন। আমরা প্রাক্তনরা অবদান রাখতে চাই।

এ সময় শতবর্ষের মিলনমেলার অনুষ্ঠানসূচি ঘোষণা করেন মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অ্যালামনাই ও অতিথিরা প্রবেশ করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ ও শোক প্রস্তাবের মাধ্যমে শুরু হবে। ১০টা ৫০ মিনিটে প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মোড়ক উন্মোচন ও ঢাবির ১০০ শিল্পীর ১০০ ছবিতে চিত্রপ্রদর্শনী উদ্বোধন হবে। এরপর সম্মানিত অতিথিরা বক্তব্য রাখবেন।

দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ‘বাংলাদেশের পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান পালিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তারপর বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাবির ১০০ গুণীজনকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন একক সংগীত পরিবেশনা করবেন।

এইচআর/এমএইচএস