রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেটের গতি ও সংযোগ প্রাপ্তি নিয়ে নানা অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে দেখা গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, ক্যাম্পাসে সরবরাহ করা ব্যান্ডউইথের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ প্রতিদিন অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, রাবি ক্যাম্পাসে দুটি ইন্টারনেট সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে থাকে। কোম্পানি দুটি হলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান  বিডিরেন ও রাষ্ট্রায়ত্ত বিটিসিএল। এর মধ্যে বিটিসিএল সরবরাহ করে ১৮৬৬ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) আর বিডিরেন সরবরাহ করে ১ জিবিপিএস ইন্টারনেট।  

এদিকে আবাসিক হলগুলোতে দেওয়া হয়েছে বিটিসিএলের সংযোগ আর অন্যান্য ভবনে দেওয়া হয়েছে বিডিরেনের মাধ্যমে সংযোগ। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮৬৬ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু আবাসিক হলে সরবরাহ করা ১৮৬৬ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের মধ্যে বেশির ভাগ সময় ৮০০ থেকে ১১০০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। ফলে প্রতিদিন অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে ৭০০-৮০০ এমবিপিএস ডাটা। 

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে তার জঞ্জাল ঠেকাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওয়াইফাই রাউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আর ল্যান সংযোগ দেওয়া হয় শুধুমাত্র ইন্টারনেট কক্ষে। 

আবাসিক হলগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাড়া অন্যান্য হলে প্রতি ফ্লোরে দুটি করে রাউটার বসিয়ে ইন্টারনেট দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু হলের প্রতিটি কক্ষের সামনে  রাউটার বসানো হলেও আশানুরূপ গতি পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। এর কারণ হিসেবে আইসিটি সেন্টারের ব্যাখ্যা, একটি নির্দিষ্ট পরিসরে অতিরিক্ত রাউটার স্থাপন করাতে সিগন্যালগুলো পরস্পর ওভারল্যাপিং করে। এতে গতি কমে আসছে ইন্টারনেটের।

রাবির আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছে, এখানে ব্যান্ডউইথ কম সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু আসলে সমস্যাটা ব্যান্ডউইথের না। প্রতিদিন আমাদের হাজার খানেক এমবি ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃতই থেকে যাচ্ছে। সেখানে আরও ব্যান্ডউইথ বাড়িয়ে কী হবে? আমরা বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা করে দেখেছি, ল্যান সংযোগে নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া যায়। এ পরিস্থিতিতে ওয়াই-ফাই রাউটার ব্যবহার না করে ল্যান (ল্যান্ড এরিয়া নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করলে ইন্টারনেট গতি বাড়বে। 

মেশকাত মিশু/এসপি