ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রবেশের মুখে আবাসিক হলের দেয়ালের পাশে আঁকা হলো জাতির জনকের সবচেয়ে বড় গ্রাফিতি। যার উচ্চতা ৪৫ ফুট। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে এ গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) বিকেলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সর্ববৃহৎ এ গ্রাফিতি উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য (বাগেরহাট-২) শেখ সারহান নাসের তন্ময়।

গ্রাফিতি উদ্বোধনের পর হল সংলগ্ন মাঠে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান শান্তর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় ‘মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে কবি জসীমউদ্দীন হলের মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আমরা নাকি পালিয়ে যাওয়ার সময় পাব না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেবে না। পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস আওয়ামী লীগের নেই। আমরা যে পিতার আদর্শিক সন্তান সেই পিতার রক্তের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস নেই। আমরা সামনের দিকে পথ চলতে ভয় পাই না। আর আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। যাকে দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোল মডেল হিসেবে মানেন।

তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ধারণা মানুষের মন থেকে মুছে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর কখনোই নির্বাচন হবে না।

এস এম কামাল হোসেন বলেন, একজন শ্রমিক মনে করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সে নিরাপদ ও ভালো থাকবে। কারণ বিএনপির আমলে প্রতিদিন সে কাজ করে ৩-৪ কেজি চাল পেত। বর্তমানে সে ১০-১২ কেজি চাল পায়। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনই শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ পড়ে, কোরআন পড়ে দিনের কাজ শুরু করেন এবং দেশ জাতির জন্য দোয়া করেন। তিনি কখনো বিপদে পড়তে পারেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির কান্ডারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববাসীর জন্য অনুকরণীয়। তিনি জনগণের রাজনীতি করতেন। তার দৃঢ় নেতৃত্ব আমাদের দেশের ভিত্তি গড়েছে। বঙ্গবন্ধুর আইকনিক নেতৃত্ব আমরা ভিন্নধর্মী শিল্পকর্ম গ্রাফিতির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছি। বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগ এ ধরনের সৃজনশীল কাজের ধারা অব্যাহত রাখবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. আকরাম হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগে সাবেক সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন রহমান প্রমুখ।

এইচআর/এসএসএইচ