ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) এক শুভেচ্ছা বাণীতে উপাচার্য বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ও চিরন্তন প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। আবহমান কাল থেকে বাঙালি জাতি নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে।

বাংলা নববর্ষের উৎসব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব। এর সাথে রয়েছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীর নিবিড় সম্পর্ক। পহেলা বৈশাখ সকল ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। নববর্ষের প্রেরণায় বাঙালির মাঝে উদার মানবিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা নতুনভাবে জাগ্রত হয়, মানুষে মানুষে গড়ে ওঠে সাম্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি।

উপাচার্য আশা ব্যক্ত করে বলেন, অতীতের গ্লানি, দুঃখ, জরা মুছে অসুন্দর ও অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ সকলের জীবনে আরও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রসূত সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ নব-উদ্যোমে আরও এগিয়ে যাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা, বাণিজ্য, অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জন করেছে। দেশে বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। সাফল্য, উন্নয়ন ও অগ্রগতির এই ধারা নতুন বছরেও অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন উপাচার্য।

এইচআর/এমএইচএস