জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত মানববন্ধনে লাইন সোজা করাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে এক বহিরাগতকে আটক করেছে প্রক্টরিয়াল বডি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের উপর ছাত্রদল ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলার অভিযোগ এনে রোববার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে। ওই মানববন্ধনের লাইন সোজা করাকে কেন্দ্র করে সিইসি বিভাগের ফাহিমের সাথে পপুলেশন সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সাদের বাদানুবাদ হয়। এর জের ধরে বিকেলে ফাহিম বহিরাগতদের নিয়ে সাদ ও তার বন্ধুদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। 

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিএসসি বিভাগের দুর্লভ, আইন বিভাগের সংগ্রাম, সাজ্জাদ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শাওন, প্রান্ত, আইন বিভাগের সিফাত, ফারাবি আহত হয়। পরে হলের শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে বহিরাগতদের ধাওয়া দিলে রিয়াদ নামের এক বহিরাগত আহত হয় ও রিয়ন নামের এক বহিরাগতকে হলে নিয়ে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডিকে খবর দেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। 

আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও ত্রিশাল থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আহত আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ত্রিশাল থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, মানববন্ধনে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে দুই শিক্ষার্থীর কথাকাটির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে বিকেলে বহিরাগত ও শিক্ষার্থীদের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। তবে ক্যাম্পাস এখন শান্ত রয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জল কুমার প্রধান জানান, বিকালে বহিরাগতদের সাথে আমাদের শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রিয়ন নামে একজন বহিরাগতকে আটক করে নিয়ে আসি। তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উবায়দুল হক/এনএফ