ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় যেকোনো মূল্যে ক্যাম্পাসে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

শুক্রবার (২ জুন) রাতে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আখতার হোসেন। এর আগে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল করলে ছাত্রদলকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ।

ঢাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক আখতার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষার সময় নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে ক্যাম্পাসে আসি। এবারও তার ধারাবাহিকতায় আমরা ক্যাম্পাসে আসব এবং তাদের শুভেচ্ছা জানাব। শিক্ষা ঐক্য প্রগতির পতাকা তলে তাদের আহ্বান জানাব। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা পাশে থাকব।

ছাত্রলীগের হামলার শঙ্কা থাকলেও ক্যাম্পাসে আসার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা বারবার আমাদের ওপর হামলা চালালেও আমরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছি। আগামীকালও যতই হামলা মামলা হোক যেকোনো মূল্যে আমরা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব, অভিভাবকদের পাশে থাকব।

'ছাত্রদল শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করলে ছাত্রলীগের চণ্ডীরূপ দেখবে' ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতির এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আখতার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন কীভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে সেটার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রয়েছে। ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব নেয়নি। তারপরও তারা তাদের খারাপ রূপ দেখালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং অপরাপর ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো তাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিহত করবে।

এর আগে আজ দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ঢাবি ছাত্রলীগের গৃহীত কর্মসূচি নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অস্থিতিশীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করলে ছাত্রদল ছাত্রলীগের 'চণ্ডীরূপ’ দেখবে বলে হুঁশিয়ার করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।

তিনি বলেন, ‘যারা ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার' স্লোগান দেয়, যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ষ করে, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়, এ ধরনের ছাত্র সংগঠনকে সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বর্জন করেছে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশের পথে-ঘাটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গণপিটুনি খেয়েছে। যদি তারা তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে তাহলে চণ্ডীরূপ তাদের প্রদর্শন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে আমরা প্রস্তুত নই।

এইচআর/এসকেডি