ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, এই শিক্ষার্থীরা এখন যথেষ্ট ম্যাচিউর্ড। তাদের বয়সও ১৮ বছর। তাদের ছেড়ে দিতে হবে। এখন ওদের নিজের মতো করে কাজ করতে সক্ষম করে তোলা আমাদের জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা সক্ষম হয়ে নিজের মতো করে কাজ করতে পারলে তাদের গুণগত মান ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পাবে। ওরা যখন নিজের মতো করে কাজ করতে শিখবে...এটাও তাদের জন্য একটা বড় প্রশিক্ষণ। আর দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে তাদের এই ধাপটি সাহায্য করবে।

আজ শনিবার দুপুরে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন উপাচার্য। 

অভিভাবকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ক্যাম্পাসে আগত পরীক্ষার্থীদের চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য পরীক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকদের না আসার অনুরোধ করেছিলাম। তারপরও পরীক্ষার্থীদের সাথে বিপুল সংখ্যক অভিভাবক ক্যাম্পাসে আসেন। এখানে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবে শিক্ষক, পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবকরা।

উপাচার্য বলেন, আমি বিভাগীয় শহরের বাকি উপাচার্যগুলোর সাথে কথা বলেছি, সেখানে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এখানে দুটো কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। তারা পরীক্ষার পরিবেশ ও প্রশ্নের মান ও ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

নিরাপত্তার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ব্যবস্থাপনায় যারা আছেন তারা সকল নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাদের সহযোগিতা করছেন। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও খুব শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। ঢাকা থেকে বিভাগীয় শহরে যাওয়া ও আসা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহযোগিতা করেন। কোনো ধরনের অশুভ শক্তি, অসাধু চক্রের নেতিবাচক কাজের প্রভাব যাতে না পড়ে সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সব মহলই সব সময় যথেষ্ট সজাগ ও সতর্ক রয়েছে।

এইচআর/এনএফ