নতুন সিলেবাসের আলোকে বাজারে পর্যাপ্ত বই না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় এর মধ্য দিয়ে। অধিভুক্তির পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণয়ন করা সিলেবাসেই সাত কলেজের পাঠদান অব্যাহত থাকলেও পরিবর্তন আসে ২০১৮-১৯ সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তির পর। পরবর্তীতে ২০১৭-১৮ (বর্তমান স্নাতক ৪র্থ বর্ষ), ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগের সিলেবাস ও বিষয়েও আসে বড় পরিবর্তন-পরিমার্জন। 

এসব পরিবর্তনের ফলে আগে যেসব বই দেখে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতো, সেগুলো দিয়ে আর চালানো যাচ্ছিল না। সিলেবাসের আলোকে সাজানো নতুন বই বাজারে না আসায় ভোগান্তিতে পড়েন তারা। এক্ষেত্রে বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়েন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা এবং উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, নতুন সিলেবাস প্রণয়নের পর সে আলোকে অনেক বিভাগের বই এখনও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পরীক্ষায় অংশ নিতে  অনেকটা ছন্নছাড়াভাবেই পড়াশোনা করছেন তারা। পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্লাস-প্র্যাকটিক্যাল না হওয়ায় কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে পরীক্ষার প্রস্তুতি।

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার মনে হয় সাত কলেজের সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার আমরা। প্রথম বর্ষ থেকেই নানা সমস্যা নিয়ে আমাদের পড়াশোনা করতে হচ্ছে। চতুর্থ বর্ষে আমাদের যে সাতটি বিষয় রয়েছে তার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বই আমরা হাতে পেয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই আমরা সাত কলেজে শিক্ষার্থীরা এখনও বাংলা বই এবং লেকচার ফলো (অনুসরণ) করি। ইংরেজি বই থেকে খুঁজে সিলেবাসের নির্দিষ্ট বিষয় বের করাটা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য। আবার সেরকম ভালো ইংরেজি বই বিভাগ এবং সেমিনারেও নেই। মাত্র তিনটি প্রকাশিত বই বাজারে রয়েছে, আর বাকিগুলো আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি ক্লাসের লেকচার শিটের মাধ্যমে। তবুও কভার করা সম্ভব হতো যদি নিয়মিত ক্লাস হতো। আমরা নিয়মিত ক্লাস পাইনি। এখন সামনে পরীক্ষা। কী হবে সেটা বলতে পারছি না। আমরা চাই বইয়ের সংকট দ্রুত নিরসন করা হোক। 

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মেজর বিষয়ের বইগুলো হাতে পেলেও নন-মেজর বই এখন পাইনি। বিজ্ঞানের অন্যান্য বিভাগগুলোতেও সহপাঠীরা বই সংকটে রয়েছে। সিলেবাসের তুলনায় আমাদের ক্লাসের সংখ্যা অপ্রতুল। তাই অধিকাংশ শিক্ষার্থীকেই পাঠ্যবইয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাছাড়া আমাদের শিক্ষা পদ্ধতিও সেমিস্টারভিত্তিক নয় যে শুধু স্যারদের লেকচারের মাধ্যমেই পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারব। তাই আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করে পর্যাপ্ত পাঠ্যবই নিশ্চিত করা হোক।

ঢাকা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ ছগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন সিলেবাসের আলোকে বাজারে পর্যাপ্ত বই না থাকায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা মনে করছেন তারা বইয়ের সংকটে পড়েছেন। আশা করি সেটা অচিরেই কেটে যাবে। নতুন সিলেবাসের অনেক বই এখন বাজারে চলে এসেছে। আমরা শিক্ষকরাও চেষ্টা করছি ক্লাসে সিলেবাস ধরিয়ে বিষয়ভিত্তিক পাঠদান করতে। তবে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারিক ক্লাস, ইনকোর্স, টেস্ট ও মডেল টেস্ট নিয়ে বিভাগগুলোতে সক্রিয় কার্যক্রম বাড়ানো গেলে এটা কোনো সমস্যা নয়। ল্যাব ক্লাস বাড়াতে পারলে তারা (শিক্ষার্থীরা) হাতে কলমে পাঠ বুঝতে পারবে। এতে করে তাদের জন্য পড়াশোনা সহজ হবে।

বইনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ
বইয়ের সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শ্রেণির পাঠ দানে উপস্থিত হতে হবে। উচ্চ শিক্ষা নিতে আসা অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখনও শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন। পড়াশোনা না করে স্নাতক পাস করার মানসিকতা থেকে সম্পূর্ণভাবে বের হয়ে আসার পরামর্শও তাদের।

ঢাকা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি নতুন সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার। পূর্বের বইগুলোতে যে বিষয়গুলো নেই সেখানে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার মাধ্যমে পাঠ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে একথা অনস্বীকার্য যে পূর্বের ধারা ভাঙতে কিছুটা হলেও সময় লাগবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা বইনির্ভর পাঠে অভ্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে তারা যদি ক্লাসে উপস্থিত না হয় তবে অনেক বিষয়েই জানার সুযোগ পাবে না। যেহেতু প্রচলিত বইয়ের মধ্যে সিলেবাসের অনেক কিছুই নেই। তাই নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের লেকচার নোট করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে।

একই সাথে বিভাগের শিক্ষকদেরও উন্নত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলতাফ মাহমুদ। তিনি বলেন, যে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে সে আলোকে শিক্ষকদেরও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। এতে করে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শিক্ষকরাও দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

বই সংকটের অভিযোগ নেই 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য অবশ্য বই সংকটের অভিযোগ মানতে নারাজ। 

ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, সিলেবাসভুক্ত বইয়ের কোনো সংকট নেই। সমস্যা হলে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আমাকে বিষয়টা জানাতো। এ সম্পর্কে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। যদি অভিযোগ পাওয়া যায় তবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও শিক্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে ঢাবির প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ল্যাব সংকট নিরসনের চেষ্টায় বিভাগগুলো
বিজ্ঞান বিভাগের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা বলছেন, বর্তমান সময়ের চাহিদার সাথে সমন্বয় করে নতুন সিলেবাস করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবহারিক ও হাতে কলমে শিক্ষার গুরুত্ব বেড়েছে। তবে নানা সীমাবদ্ধতায় নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা কতটুকু নেওয়া হচ্ছে এ বিষয়টি নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলছেন, সাত কলেজের ২-৩টি কলেজে পর্যাপ্ত লোকবল ও অবকাঠামো থাকলেও বাকিগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক, ল্যাব, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, শ্রেণিকক্ষ সংকট রয়েছে। প্রতিটি বর্ষের ক্লাস নিয়মিত নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। 

একইসাথে নিয়মিত ব্যবহারিক ক্লাস বাড়ানো ও সরাসরি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে প্রায়োগিক ক্লাস নেওয়া সম্ভব হলে সংকট নিরসন সম্ভব হবে বলেও মনে করছেন তারা।

বইয়ের সংকট কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছেন প্রকাশকরা
অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা কম হওয়ায় শুধুমাত্র সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা বই ছাপানোর বিষয়ে আগ্রহী নন অনেক প্রকাশক ও বই কোম্পানি। 

তারা বলছেন, উচ্চশিক্ষায় সারা দেশে যেসব সরকারি বেসরকারি কলেজ রয়েছে সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান করা হয়ে থাকে। তাই সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসভুক্ত বিষয়ের ওপর প্রকাশিত বইয়ের চাহিদা বেশি। প্রকাশকরাও সেই চাহিদা অনুযায়ী সারা দেশে বৃহৎ বইয়ের বাজার ধরতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুযায়ী বই প্রকাশ করে থাকেন। আর অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ক্ষেত্রে বিশেষ করে বিজ্ঞানের বিভাগের বিষয়গুলোতে ২০১৭-১৮ সেশনে এসেছে সিলেবাসের বড় পরিবর্তন। সাতটি কলেজ মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় নতুন সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করে বই প্রকাশে তেমন একটা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই এখানে অনেকেই লগ্নি করতে আগ্রহী নয়। তারপরও নতুন করে পাঠ সংযোজন, বিয়োজন ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে বইয়ের সংকট কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞান বিভাগের বই নিয়ে কাজ করেন এমন প্রকাশনার সাথে জড়িতরা বলছেন, স্বল্প সময়ের মধ্যেই সিলেবাসের ব্যাপক পরিবর্তন, পরিমার্জন হয়েছে। সেই সিলেবাসের আলোকে নতুন করে বই লেখা, সম্পাদনা, ছাপানো, বাঁধাই, ও বাজারজাতকরণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। হুট করেই পরিবর্তনের সাপেক্ষে বই বাজারজাত সম্ভব নয়।

সাত কলেজের বিজ্ঞান অনুষদের পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের বই নিয়ে কাজ করেন ইউনিভার্সেল পাবলিকেশন্স। এই প্রকাশনার সংশ্লিষ্টরা জানান, সাত কলেজের সিলেবাসের বড় পরিবর্তনের পর দীর্ঘ চেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে চারটি বর্ষের অধিকাংশ বই বাজারে আনতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এর মধ্যে বিএসসি (সম্মান) ১ম বর্ষের বলবিদ্যা ও পদার্থের ধর্ম, তাপীয় পদার্থবিজ্ঞান, তড়িৎবিদ্যা ও চুম্বকত্ব, ইন্ট্রোডাকশন টু কম্পিউটার অ্যান্ড প্রোগ্রামিং ১ ও ২,  নন মেজর অনার্স ফিজিক্স (গণিত ও রসায়ন বিভাগ), নন মেজর পদার্থের ধর্ম (গণিত বিভাগ), মৌলিক রসায়ন (নন মেজর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ) বই বাজারে রয়েছে। 

২য় বর্ষের অপটিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স-১, গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান, পারমাণবিক ও আণবিক পদার্থবিজ্ঞান, তরঙ্গ স্পন্দন ও বলবিদ্যা, নন মেজর অনার্স ফিজিক্স ২-(গণিত ও রসায়ন বিভাগ) বাজারে রয়েছে।

৩য় বর্ষের চিরায়ত বলবিদ্যা ও আপেক্ষিকতা, কোয়ান্টাম বলবিদ্যা-১, সলিড স্ট্যাট ফিজিক্স-১, নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞান-১, চিরায়ত তড়িৎ গতিবিদ্যা, ইন্ট্রোডাকশন টু অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, লেজার এন্ড ফটোনিক্স বাজারে রয়েছে।

৪র্থ বর্ষের সলিড স্টেট ফিজিক্স-২, ইলেক্ট্রনিক্স-২, পরিসাংখ্যিক বলবিদ্যা বই বাজারে রয়েছে।

ইউনিভার্সেল পাবলিকেশন্সের প্রকাশক কাজী শাহ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয় বরং নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যেই অধিভুক্ত সাত কলেজের নতুন সিলেবাসের বই প্রকাশের চেষ্টা করছি। সিলেবাসের পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে  প্রাথমিক অবস্থায় শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধিকাংশ বই বাজারে এসেছে। আসলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারেই কম। একটি সেশনে পুরো সাত কলেজ মিলে পাঁচশ থেকে সাতশ শিক্ষার্থী রয়েছে। একটি বই প্রকাশের জন্য যে পরিমাণ খরচ হয় সেটা ওঠানো সম্ভব হয় না। কিছু বইয়ের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, সেটা আগামী ১০ বছরেও পোষাবে কি না সন্দেহ রয়েছে।

প্রকাশক কাজী শাহ আলম অভিযোগ করেন, যারা সিলেবাস প্রকাশ করেছেন তাদের যে পরিমাণ সহযোগিতা করার কথা ছিল, আমরা সেটা পাচ্ছি না। নতুন সিলেবাসের আলোকে পাঠ্যবই কেমন হবে সেটা শিক্ষকদের নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা ছিল। দায়বদ্ধতা পুরোটাই শিক্ষকদের। সাত কলেজের শিক্ষকদের কাছেও বিষয়গুলো নতুন। তাছাড়া বইয়ের কাটতি অল্প হওয়ায় এসব বই লিখতে লেখকরাও আগ্রহী নয়। এরমাঝেও বইয়ের সংকট কাটাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে বিষয়টি সময় সাপেক্ষ।

কবির পাবলিকেশন্স নামে আরেকটি প্রকাশনা সংস্থার প্রকাশক মাহমুদ হাসান বিপ্লব ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাত কলেজের জন্য প্রকাশিত বইয়ের ক্রেতার পরিমাণ কম হওয়ার কারণে নতুন বই বের করার পর তার খরচ ওঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এরপরও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সাত কলেজের নতুন সিলেবাসের আলোকে কিছু বই আমরা বাজারে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা মূলত প্রকাশিত অন্য বইয়ের লভ্যাংশ থেকে সমন্বয় করে সাত কলেজের বই বের করছি। সম্পূর্ণভাবে সকল বিষয়ের বই প্রণয়ন করতে বেশ সময় লাগবে।

এমএইচটি/এনএফ