ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ. এস. এম মাকসুদ কামাল।

বাঙালি মধ্যবিত্তের শিক্ষার বিকাশ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গৌরবময় ভূমিকা থাকলেও বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে শতবর্ষী এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষা ও গবেষণার মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। ১০১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিক্ষা ও গবেষণা খাত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ. এস. এম মাকসুদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আমজাদ হোসেন হৃদয়।

ঢাকা পোস্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে কী ভাবছে?
অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল : যেসব সূচকের ওপর নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং করা হয় সে বিষয়গুলোতে অতীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুব বেশি নজর দেয়নি। সাম্প্রতিককালে শতবর্ষকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়গুলোতে এখন তৎপর। কিউএস র‍্যাংকিংয়ের কথা যদি আমরা বলি, সেখানে একাডেমিক খ্যাতি, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের চাকরির বাজারে সুনাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকর্ম এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ইত্যাদি অন্যতম। আমরা এই বিষয়গুলোকে এতদিন খতিয়ে দেখিনি। এখন আমরা এই বিষয়গুলোর দিকে নজর দিচ্ছি। র‍্যাংকিং মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকার একটি বড় কারণ হলো আমাদের ডকুমেন্টেশনে ঘাটতি। 

আমাদের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে র‍্যাংকিংয়ে সহযোগিতা করার মতো বিভিন্ন কাজ হয়। কিন্তু তাদের সব তথ্য আমাদের কাছে না থাকায় সেগুলো আমরা উপস্থাপন করতে পারি না। অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়েও র‍্যাংকিং করা হয়। আমরা এই বিষয়টি নিয়েও কাজ করছি।

ঢাকা পোস্ট: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা খাতকে এগিয়ে নিতে একটি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের কথা বলা হচ্ছে, তার অগ্রগতি কতদূর?
অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল : একাডেমিক প্ল্যানের জন্য সম্প্রতি একটা কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক হলেন অধ্যাপক হাসিনা খান এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাফিজ মো. হাসান বাবু। অধ্যাপক এ.কে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক ফখরুল আলম, অধ্যাপক আতিউর রহমানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপকগণ এই কমিটিতে আছেন। দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি প্ল্যান প্রণয়ন করার জন্য একটি গাইডলাইন আমরা সেখান থেকে পাব। আমাদের এই কমিটিকে তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। উনাদের থেকে আমরা যে গাইডলাইন পাব, সে গাইডলাইনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী একাডেমিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।  

এছাড়া টিচিং এনভায়রনমেন্টের দিকেও আমরা লক্ষ্য রেখেছি। যেমন, শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত ২০ স্কয়ার ফিট জায়গার প্রয়োজন, তা আমাদের শ্রেণিকক্ষে বর্তমানে অনুপস্থিত। আমরা লক্ষ্য করেছি যে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এখনও আমাদের ১৩ লাখ স্কয়ার ফিট একাডেমিক ভবন স্থাপনার প্রয়োজন আছে। নতুন মাস্টারপ্ল্যানে সেগুলো আমরা যুক্ত করেছি। ভবিষৎতে শিক্ষার্থীদের একটি পরিপূর্ণ একাডেমিক এনভায়রনমেন্ট দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান

ঢাকা পোস্ট : মাস্টারপ্ল্যানের কাজ কবে শুরু হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমন পরিবর্তন আসতে পারে?
অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল : ইতোমধ্যে আমাদের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন হয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটি দেখেছেন। শহিদ মিনারের সামনের যে রাস্তা সেটা দিয়ে যেন যান চলাচল না করে এবং শহিদ মিনারের পেছন দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যানে আছে। ঢাকা মেডিকেলের মাস্টারপ্ল্যানেও একটা রাস্তা সেভাবে দেখানো আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখেন তখন তিনি বলেন যে, ঢাকা মেডিকেলের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি যেন সমন্বয় করা হয়। এ বিষয়টি ছাড়া মাস্টারপ্ল্যানের বাকি সবগুলো বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। সে আলোকে আমাদের ইতোমধ্যে ২ হাজার ৭০০ পাঁচ কোটি টাকার একটি প্রকল্প শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আছে।

অতীতে ছাত্রীদের জন্য আলাদা খেলার মাঠ এবং সুইমিংপুল ছিল না। এখন এগুলোর প্রস্তাবও এখানে আছে। একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যে ধরনের অবকাঠামো ও একাডেমিক পরিকল্পনা থাকলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়তে আকৃষ্ট হবে সেরকম শিক্ষার্থীবান্ধব পরিকল্পনার দিকে আমরা ক্রমশ যাচ্ছি। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিগুলোকে সমৃদ্ধ করার জন্য এবং মেডিকেল সেন্টারসহ বিভিন্ন বিভাগ ইনিস্টিউটের যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য আমাদের সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে আছে। এতে ভবিষৎতে উন্নতমানের গবেষণা করা সম্ভব হবে। মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে প্রায় ১৫ একর সবুজ চত্ত্বর বাড়বে। ক্যাম্পাসের মধ্যে অঞ্চলভিত্তিক সংযোগ আরও বাড়বে। শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে সাইকেলে চলাফেরা করতে পারবে।

ঢাকা পোস্ট : শতবর্ষী এই বিদ্যাপীঠ এখনও কেন শতভাগ ডিজিটাইজেশনে পৌঁছাতে পারেনি?
অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল : ডিজিটাইজেশন এবং অটোমেশন পৃথিবীর যেকোনো উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। অর্থাৎ ডিজিটাইজেশনটা যদি হয় তাহলেই অটোমেশনটা হবে। আমাদের কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট ডিজিটাইজেশনের কিছু কিছু কাজ শুরু করেছিল, কিন্তু নানাবিধ কারণে সেগুলো এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে এই কাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তৎপর। ইতোমধ্যে আমরা গ্র্যাজুয়েটদের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রদান সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ট্রান্সক্রিপ্ট সফটওয়্যার প্রবর্তন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবাগ্রহণ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি ও আপিল নিষ্পত্তির লক্ষ্যে তথ্য বাতায়ন (এপিএ লিংক) চালু করেছি। 

এছাড়া যেকোনো পরিক্ষার্থী এখন অনলাইনে টাকা দিয়ে তার ফরম পূরণ করতে পারে এবং প্রবেশপত্র পায়। এভাবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধীরে ধীরে ডিজিটাইজেশন এবং অটোমেশনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এটা আমাদের অনেক আগেই করা উচিৎ ছিল, কিন্তু আমরা আগে সেভাবে নজর দেইনি। এখন সেটা আমরা করতে যাচ্ছি এবং এতে শিক্ষার্থীদেরও ব্যাপক সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। এছাড়া এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় যে দুর্বলতা সেটি হলো আমাদের এখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কম্পিউটার নলেজ না থাকা। এখন যতটুকু সম্ভব তাদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিক্ষিপ্তভাবে অনেক বিষয়ে ডিজিটাইজেশনের কাজ সম্পূর্ণ হলেও শতভাগ ডিজিটাইজেশন সময়ের দাবি। নিকট ভবিষৎতে আমরা শতভাগ ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন করতে পরিকল্পনা নিচ্ছি।

ঢাকা পোস্ট : শতভাগ আবাসন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা কী?
অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল : দুই হাজার সাতশ পাঁচ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হলে অনেকগুলো হল নির্মাণ হবে। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য জয় বাংলা নামে একটি হল নির্মাণ হবে সেখানে ১ হাজার ছাত্রী থাকতে পারবেন। এছাড়া কতগুলো হল ভেঙে নতুন নতুন ভবন তৈরি করা হবে। আমরা দেখেছি যে ছাত্রদের প্রায় ৭৫-৮০ শতাংশ এবং ছাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৭৪ শতাংশ হলে থাকতে চায়। সেভাবেই আমরা নতুন মাস্টারপ্ল্যানে প্রস্তাব দিয়েছি। হলে একজন শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ২০০ স্কয়ার ফিট জায়গার প্রয়োজন। আমাদের হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের এই সুবিধা আমরা দিতে পারিনি। নতুন মাস্টারপ্ল্যানে আন্তর্জাতিক যে সূচকগুলো আছে সেগুলো অনুসরণ করে আমরা হল নির্মাণের প্রস্তাব রেখেছি। প্রকল্প গৃহীত হওয়ার পর নতুন ভবনের পরিকল্পনা শুরু হবে। আপনি জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নে তিনি সকল সময় মনোযোগী। শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা সমাধানে তিনি খেয়াল রাখছেন। পুরাতন ভবন সংস্কার এবং ক্যাম্পাস নান্দনিক করার জন্য তিনি নির্দেশনা ও আর্থিক বরাদ্দ দিয়েছেন। মাস্টারপ্ল্যানের প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন হলে আবাসিক সমস্যার সমাধান হবে।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়

ঢাকা পোস্ট : পরবর্তী ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কতটা ইতিবাচক?
অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল : শিক্ষক হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে আমরা চাই নেতৃত্বের বিকাশ হোক। যে নেতৃত্বে শিক্ষা এবং সহ-শিক্ষা কার্যক্রম আরও বহুলাংশে সম্প্রসারিত করতে পারবে। সে জন্য আমাদের ডাকসুর প্রয়োজন আছে। ডাকসু থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসুর নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে যেকোনো সমস্যা সমাধানে আরও স্বাচ্ছন্দবোধ করে। ছাত্র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা এবং যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জন্য সহজ হয়। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ চায় ডাকসু নির্বাচন হোক। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনের সাথে জাতীয় রাজনীতিরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট থেকে শুরু করে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে সেটিকে অগ্রসর করে নেওয়ার জন্য ডাকসু নির্বাচন হতে গেলে সকল পক্ষের ঐক্যমতের প্রয়োজন আছে।

এই ঐক্যমতের সাপেক্ষে যদি সকল পক্ষ অগ্রসর হয়ে আসে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের জায়গাটিকে সচল রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কার্পণ্য নেই। তবে যারা ডাকসুতে নির্বাচিত হবেন তাদেরও মনে রাখতে হবে এটি হলো আমাদের সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে আমরা যদি আন্তর্জাতিক মানে না নিতে পারি তাহলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আগামী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতীতে লক্ষ্য করেছি ডাকসু নির্বাচন নিয়ে হানাহানিও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে। সকল পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থকে অক্ষুণ্ণ রেখে যদি অগ্রসর হয়ে আসে, ডাকসু নির্বাচন দিতে কর্তৃপক্ষের অসম্মতি থাকার কথা নয়।

ঢাকা পোস্ট : বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল : আমরা ভৌত অবকাঠামো এবং একাডেমিক প্ল্যান এই দুইটিকে সমন্বয় করে আগামীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে চাই। ভবিষৎতে এই বিশ্ববিদ্যালয় ইনটেনসিভ গবেষণাভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান হবে, বিদেশি শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসবে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদেশ নির্ভরতা কমাবে, এই সব স্বপ্ন আমি দেখছি। একটি আধুনিক মেডিকেল ফ্যাকাল্টি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনতিবিলম্বে গড়ে উঠবে, এটিও আমার প্রত্যাশা।

এইচআর/এনএফ