তেল, গ্যাস, পানি, খাদ্য ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার শপথ নিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ শপথ বাক্য পাঠ করান ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন সাইন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফিরোজ আহমেদ। 

শপথে তেল, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্য অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকার পাশাপাশি অহেতুক লাইট-ফ্যান-হিটার ব্যবহার না করার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ঐক্যমত পোষণ করেন। নোবিপ্রবি থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসিব আল আমিনের পরিচালনায় এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন সাইন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, তরুণ প্রজন্ম সংকট কী জিনিস তা আগে উপলব্ধি করেনি। কিন্তু আমরা বিভিন্ন সময়ে বিষয়টি উপলব্ধি করেছি। বর্তমানে সারা বিশ্বে একটি সংকট রয়েছে। যা কখন শেষ হবে বলা যাচ্ছে না। কিন্তু আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থেকে সাশ্রয়ী হতে পারি, তাহলে দেশ উপকৃত হবে।

অধ্যাপক ড. মো. ফিরোজ আহমেদ আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের পথে আমরা হাঁটছি। সে জায়গা থেকে সবাইকে সচেতন ও সাশ্রয়ী হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আকলিমা আক্তার বলেন, আমরা অযথা অনেক বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির অপচয় করি। এদিকে সবার দৃষ্টি দেওয়া উচিত। বৈশ্বিক এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।

নোবিপ্রবি থিয়েটারের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, পৃথিবীকে সুন্দর করতে হলে সবার আগে নিজেকে সুন্দর হতে হবে।থিয়েটার হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সব সমস্যা আমরা থিয়েটারের মাধ্যমে তুলে ধরি। আমরা সচেতন না হলে দেশ পিছিয়ে যাবে। তাই শ্রেণিকক্ষ থেকে শুরু করে আবাসিক হলে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও খাবারের অপচয় রোধে সচেতন হওয়া উচিত।

নোবিপ্রবি থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসিব আল আমিন বলেন, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ সারাবিশ্বে সমস্যা। আমরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবো। সেজন্য আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। সাশ্রয়ী হলে আমরা যেকোনো সংকট মোকাবিলা করতে পারব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদারুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি যেকোনো সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সে লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিসে নির্দেশনা দিয়েছি।

হাসিব আল আমিন/এমএইচএস