জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম প্রয়াণ দিবস পালন করেছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) নিজ বিভাগেই এ দিবস পালন করে সংগীত বিভাগ।

এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় কাজী নজরুলের জীবনমুখী গানের মাধ্যমে নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে নজরুলের প্রেম বিদ্রোহ ও সাম্যবাদের গানগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‌‌‘এসো শারদ প্রাতের পথিক, এসো শিউলি বিছানো পথে’ গানটি সমবেত কণ্ঠে গাওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। 

পরে নজরুলের জীবনী, মানুষ, সমাজ ও দেশ নিয়ে তার লেখা গান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে একে একে গান পরিবেশন করেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরবর্তী সময়ে ‘মৃত্যু নাই, নাই দুঃখ আছে শুধু প্রাণ’ গানটির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এ সময় সংগীত পরিবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ শোয়েব। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের নজরুলের জীবনমুখী ও সাম্যবাদী গান-কবিতার চর্চার আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন নজরুল প্রীতি খুব কম দেখা যায়। তারা আসলে নজরুলকে লালন করে না। শুধু মাত্র জন্ম-মৃত্যু দিনে অনুষ্ঠান করেন। নজরুলের গান ও কবিতার চর্চা বাড়াতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা রোধে ও সঠিক জীবনবোধ চর্চায় নজরুল চর্চার বিকল্প নেই। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ। তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন জীবন ও শিল্পের অনুরাগী। তিনি যেমন বিদ্রোহী ছিলেন, তেমনি ছিলেন প্রেমিকও সমতা ও শ্রেণি বিভেদহীন সমাজ গড়তে সবসময় কলম চালিয়েছেন তিনি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ছিলেন সবার। তার সুরের চর্চায় জীবনকে রাঙাতে হবে। শিখতে হবে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতার গান। নজরলের প্রয়াণ দিবসে অনেক শ্রদ্ধা। 

এ সময় অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএ