‘আমার দলই সেরা দল, বিশ্বকাপ নেব জোরসে বল’ স্লোগানে ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবিতে) রম্য বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, পর্তুগাল এবং জার্মানি সমর্থক দল।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে বিকেল ৩টায় কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ উপলক্ষে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিতর্ক প্রতিযোগিতাটির আয়োজন করে জবি ডিবেটিং সোসাইটি। 

প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার সমর্থক দল হয়ে বিতর্ক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাফিয়া রহমান এবং মোর্শেদ হাসান আসিফ। তারা আর্জেন্টিনার পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরে বলেন, এবারের কাতার বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনাই নেবে এবং দল হিসেবে আর্জেন্টিনাই সেরা। 

প্রতিযোগিতায় ব্রাজিলের সমর্থক দল হয়ে বিতর্ক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহম্মেদ আমিন সিফাত এবং ফারিস্তা প্রিয়া। তারা ব্রাজিলের পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরেন এবং তারা কেন ব্রাজিল দল সমর্থন করেন তারও ব্যাখ্যা দেন। সর্বশেষ তারা নিজেদের দলকে সেরা বলে বক্তব্য শেষ করেন।

প্রতিযোগিতায় পর্তুগালের সমর্থক দল হয়ে বিতর্ক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জোহরা খাতুন ডলি এবং কিশোর সাম্য। তারা পর্তুগালের পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরে বলেন এবারের কাতার বিশ্বকাপ পর্তুগালই নেবে এবং দল হিসেবে আমার দলই সেরা। 

প্রতিযোগিতায় জার্মানির সমর্থক দল হয়ে বিতর্ক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী এবং নাইমা আক্তার রিতা। তারা জার্মানির বিভিন্ন ভালো দিক এবং অন্য দলের সমালোচনা করে বলেন, দল হিসেবে জার্মানিই সেরা। তাই কাতার বিশ্বকাপ জার্মানিই নেবে।  

এই রম্য বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উদ্বোধক এবং ডিবেটিং সোসাইটির সোসাইটির মডারেটর মো. মেফতাহুল হাসান বলেন, বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতি বাঙালির যে আবেগ রয়েছে আমার মনে হয় তা বিশ্বকাপে যারা খেলে তাদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। বিশ্বকাপের দরবারে এখনও বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। তারপরেও এই বিশ্বকাপের মাধ্যমে চার বছর পরপর নিজেদের আবেগ তুলে ধরতে পারি। এটা আর কোনো জাতি পারে কি না আমার সন্দেহ।  

বিতর্ক শেষে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, বিতর্কের মাধ্যমে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনার সাপেক্ষে সুষ্ঠু সমাধান ও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার প্রত্যয়ে আমাদের এ আয়োজন। সর্বোপরি এই বিতর্কে সবারই জয় হয়েছে। 

এমএল/এসকেডি