ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো দল গোল না পাওয়ার হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে যান পুরান ঢাকায় আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে গোল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে মেতে উঠেন পুরান ঢাকার মেসি ভক্তরা।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরান ঢাকার নারিন্দা, ওয়ারী, ভিক্টোরিয়া পার্ক, মুরগী টোলা মোড়, রায় সাহেবের বাজার, কলতা বাজার, লক্ষ্মীবাজারের প্রতিটি গলিতে টিভি, প্রজেক্টর, এলইডি স্ক্রিনে খেলা দেখেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা।

জয়লাভের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরান ঢাকার অলিগলিতে আনন্দ মিছিল করেন তারা। এসময় তারা বলেন, ফুটবল মাঠে মেসি একজনই হয়। আজকের জয়টা আর্জেন্টিনার জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। অবশেষে জয়টাও পেয়ে গেল।

আট বছর বয়সী রায়হান ঢাকা পোস্টকে বলে, মেসির খেলা দেখব বলে ঘুমাইনি। সন্ধ্যা থেকে অপেক্ষা করছিলাম মেসিদের খেলা দেখার জন্য। আমার খুব আনন্দ হচ্ছে মেসিরা জয় পাওয়ায়। এবার বিশ্বকাপ মেসিদের দলই পাবে।

বাংলাদেশ আর্জেন্টাইন সমর্থক গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক হাসান মাতুব্বর ঢাকা পোস্টকে বলেন, দারুণ উপভোগ্য ছিল আজকের ম্যাচটি। শৈল্পিক ছন্দময় খেলে আর্জেন্টিনা জয় লাভ করে। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা ছন্দে না থাকলেও হাফ টাইমের পরে আর্জেন্টিনার ছিল একক আধিপত্য। এভাবে পরের ম্যাচগুলোতে ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন হওয়া মোটেও অসম্ভব নয়।

এসময় ব্রাজিল সমর্থক ইয়াসিন আরাফাত সবুজ বলেন, আজ মন থেকে চেয়েছি আর্জেন্টিনা জয়লাভ করুক। কারণ আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের আসর থেকে ছিটকে গেলে বিশ্বকাপের মজাটা পাওয়া যাবে না। প্রথমার্ধে গোল না হওয়ার আমিও হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বাস ছিল মেসির ওপর। শেষ মুহূর্তে মেসি সেই বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে সক্ষম হয়েছেন।

এমএল/এসএসএইচ/