পর্দা নামল ঢাবির ৩ দিনব্যাপী নন-ফিকশন বইমেলার

খ্যাতিমান প্রকাশকদের অংশগ্রহণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ৩ দিনব্যাপী নন-ফিকশন বইমেলার পর্দা নামল।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ মেলার সমাপ্তি ঘটেছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এর আগে গত সোমবার সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান।

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তা যৌথভাবে ৬ষ্ঠ বারের মতো এ মেলার আয়োজন করে। ২৬-২৮ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল নন-ফিকশন বইমেলা প্রাঙ্গণ। এ বছর সর্বমোট ৩৯ প্রকাশনা ও গবেষণা সংস্থা মেলায় অংশ নিয়েছে।

নন-ফিকশন বইমেলার আয়োজনের বিষয়ে আয়োজক কমিটি বলেন, নন-ফিকশন বইমেলা আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য হলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যবসা, অর্থনীতিসহ নন-ফিকশন বইয়ের পরিচিতি বৃদ্ধি এবং এ ধরনের বই পড়ায় আগ্রহী করে তোলা। নন-ফিকশন বইমেলা এরই মধ্যে শিক্ষার্থী ও পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হওয়ার পাশাপাশি পুস্তক বিপণনের ক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানান আয়োজক কমিটি।

এ বছর প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা নন-ফিকশন বই পুরস্কার প্রবর্তন করেছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ। মেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশকদের মনোনীত বই থেকে বিচারক প্যানেল ২০২২ সালের সেরা নন-ফিকশন বই নির্বাচিত করেন। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এই বর্ষসেরা নন-ফিকশন বই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা প্রকাশনী নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড ও দ্বিতীয় হয়েছেন প্রথমা প্রকাশনী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বিতর্ক, সাহিত্য চর্চা ও নাটকের বিশাল একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এই মেলা শিক্ষার্থীদের তথ্য উপাত্ত ভিত্তিক জ্ঞানচর্চায় আরও বেশি সহায়তা করতে পেরেছে। নন-ফিকশন বইয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচিত করার বিষয়ে সহায়তা করেছে এই মেলা। এজন্য তিনি আয়োজক কমিটির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও শিক্ষার্থীদের মন মগজে ইতিহাস ঐতিহ্য ও জ্ঞান বিজ্ঞানের নানা শাখায় আগ্রহী করে তুলবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ও অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, বিজনেস অনুষদের ডিন প্রফেসর মুহাম্মদ আব্দুল মঈন ও বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ প্রমুখ।

এইচআর/এমএ