চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার/ ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এ বিষয়ে অবহিত হওয়ার পরও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভা স্থগিত করা হয়নি। শনিবার (২১ জানুয়ারি) ওশানোগ্রাফিসহ কয়েকটি নিয়োগ বোর্ডে সভাপতিত্ব করবেন উপাচার্য নিজেই। সংক্রমণের শঙ্কা থাকার পরও উপাচার্য ভাইভা পরীক্ষা স্থগিত না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি চবি ভিসি শিরীণ আখতারের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি ওই দিন বেলা ১২টা ২০ মিনিটি নমুনা জমা দেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর)। একই দিন আরটিপিসিআর পরীক্ষায় ৬৬ বছরের বয়সী এ শিক্ষকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। 

গত ১৯ জানুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় চবি উপাচার্য শিরীণ ঢাকায় গিয়েও গণভবনে প্রবেশ করতে পারেননি বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তিনি ফেরত চলে আসেন চট্টগ্রামে। শনিবার শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে তার অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে উপাচার্য শিরীণ আখতারকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার ব্যক্তিগত সহকারী ও চবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. ফোরকান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামীকাল কয়েকটি শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষা রয়েছে। উপাচার্য এসব বোর্ডে সভাপতিত্ব করবেন। কোনো বোর্ড স্থগিত করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক জানান, উপাচার্য করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে অবহিত হওয়ার পরও বোর্ড স্থগিত না করা দুঃখজনক। কারণ পদাধিকার বলে তিনি প্রত্যেক নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি। 

চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ড. হেলাল উদ্দিন নিজামী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বোর্ডের কোনো সদস্য চাইলে অনলাইনে অংশ নিতে পারেন। তবে সভাপতি হিসেবে উপাচার্যের সেই সুযোগ নেই। কারণ এটি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড। আবার স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী তার সরাসরি অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করাটা উচিত ছিল। এক্ষেত্রে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা উচিত। 

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এসকেডি