সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আয়োজিত জগন্নাথ হলের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের/ ঢাকা পোস্ট

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাসে রূপ দিতে হবে। এখানে আমরা সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের আগ্রাসন চাই না। অস্ত্রের ঝনঝনানি একসময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করেছিল। এখানে এখন আর অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাবির জগন্নাথ হল মাঠে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সত্য ও সুন্দরের অভিসারী। তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন ভিশন ২০২১ থেকে রূপকল্প ২০৪১ এর দিকে। যার মূল লক্ষ্য হলো স্মার্ট বাংলাদেশ। আসুন আমরা এই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর হয়ে যার যার অবস্থান থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করি, তার হাতকে শক্তিশালী করি।

স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, এই জগন্নাথ হল আমার জীবনের এক স্মৃতিময় অধ্যায় হয়ে রয়েছে। ৭৫-এর পর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের সব কর্মকাণ্ড এই জগন্নাথ হল থেকে পরিচালিত হয়েছে। আমরা একঝাঁক তরুণ সেদিন প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলাম। এই জগন্নাথ হল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিলাম।

ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ধমনীতে ছাত্রলীগের রক্ত প্রবাহিত; আমার চেতনায়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনায় প্রবাহিত। আমি ছাত্রলীগের গৌরবময় ইতিহাসের উত্তরাধিকারী। শেখ হাসিনা সরকারের ১৬ বছর মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছি। কাজেই ছাত্রলীগ করলে কেউ হারিয়ে যায় না। কমিটমেন্ট থাকলে, লেগে থাকলে, জীবনে অনেক অসাধ্য সাধন করা যায়। অনেক কৃতিত্ব অর্জন করা যায়।

আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত কুমার নন্দী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শায়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ আরও অনেকে। 

এইচআর/কেএ