বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলার এ ঘটনায় আহত ছাত্র অধিকার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সহ-সভাপতি ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সেলের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন>>>ঢাবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রলীগের হামলা

ছাত্র অধিকার পরিষদের দেওয়া তথ্যমতে আহতদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সহ-সভাপতি আখতার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রহমতুল্লাহ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রুবেল, ঢাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নুসরাত তাবাসসুম, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।

এছাড়াও ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন রিফাত রাশিদ, হাসিব-আল-ইসলাম তাসলিম হোসেইন অভি, নুসরাত কেয়া, ফয়সাল রকি, আবির হোসেন সবুজ, ফয়সাল, নিরব, আবু রায়হান সোহান, রিপন হাসান, জহিরুল ইসলাম, সাব্বির হোসাইন, সম্রাট, মোসাদকেক সাদ, আবু ত্বহা, রিপন হাসান, জহিরুল ইসলাম শান্ত।

বিবৃতিতে বলা হয়, আজ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা রাজু ভাস্কর্যে সমবেত হয়। সেখান থেকে টিএসসিতে আসার পথে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বাধা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে থাকে ছাত্র অধিকার পরিষদ। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের বিজয় একাত্তর হলের কর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মুনাফ প্রান্ত এবং সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রলীগের নেতা, লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ইবনে আব্দুল হক রাব্বী, জহুরুল হক হলের ১৫-১৭ সেশনের ফরিদ জামান, জিয়া হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আলম চৌধুরী ও মুহসিন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর জিহাদের নেতৃত্বে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন ও কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার ওপর হামলা করা হয়।

হামলাকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকতের অনুসারী। তার পরপরই পরিষদের অন্য নেতাকর্মীদেরকেও কিল-লাথি-ঘুষি এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরিষদ কর্মী ইউনুসের পায়ের ওপর রাস্তার ডিভাইডার স্ল্যাব ফেলে দেওয়া হয়। এতে তার ডান পা ভেঙ্গে যায়। ছাত্রলীগের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় ২৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এতে আরো জানানো হয়, আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গণস্বাস্থ্য মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইউনুস, আখতার হোসেন ও বিন ইয়ামিন মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যর্থ প্রক্টরের পদত্যাগ চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অনতিবিলম্বে এই হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। নতুবা এই হামলার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

এইচআর/এমএ