করোনা মহামারিতে গত দুই বছর সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন ও ব্যক্তি পর্যায়ে দুইজন একসঙ্গে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের অনুমতি পেতেন। তবে এবার সেই বিধিনিষেধ থাকছে না।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রফেসর আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, এবছর প্রতিটি সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে সবাই শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আগের বিধিনিষেধ থাকছে না। আমরা মনে করি সবার মাঝে সচেতনতাবোধ এসেছে। তবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ করছি।

উপাচার্য বলেন, সর্বস্তরের জনগণ পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যাবেন। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর ঢাবির খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চাঁনখারপুল হয়ে প্রস্থান করা যাবে। কোনোভাবেই শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না। এছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপও প্রণীত হয়েছে। ম্যাপ যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন, শহীদ দিবস উদযাপনে সার্বিক ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গে অমর একুশে পালনের লক্ষ্যে শহীদ মিনার এলাকায় কোনো মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না। এছাড়া শহীদ মিনার এলাকায় কোনো ব্যানার, পোস্টার বা ছবি টানানো যাবে না। প্রবেশপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার ও স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাদেরকে যথাযথ সহযোগিতা করতে সবার প্রতি আহ্বান
জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও একুশে উদযাপন কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং সমিতির সহ- সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা ও সদস্য সচিব প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

এইচআর/কেএ