ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যের কার্যালয়ে ফের তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ। এই ঘটনায় উপাচার্যের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা। 

আন্দোলনকারীরা বিশ্বাবিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন। তাদের বেশিরভাগই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। আন্দোলনে অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগনেতা মিজানুর রহমান টিটু, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোদ্দারসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা তালা খুলে দেন।

এর আগে একই দাবিতে গতকাল রোববার বেলা ১১টায় উাপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় তারা উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের তালা খুলে দেন।

অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান টিটু বলেন, ইবি ভিসি সবাইকে দুর্নীতি করে নিয়োগ দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি ধ্বংস করে দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা দিয়ে নিজের বাড়ি বানাচ্ছেন। এই দুর্নীতিবাজ ভিসিকে আমরা এই বিশ্বদ্যালয়ে দেখতে চাই না। তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে 'ফারাহ জেবিন’ ও ‘মিসেস সালাম’ নামে দুইটি ফেসবুক আইডি থেকে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ও শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্যের পরপর পাঁচটি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিওতে পরীক্ষার আগেই চাকরির প্রশ্নফাঁস ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে শোনা যায়। অডিও ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যকে দুর্নীতিবাজ ও চোর আখ্যা দিয়ে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে ডে লেবার ও ‘অস্থায়ী চাকরিজীবী পরিষদ’।

রাকিব হোসেন/আরকে