ঢাবিতে ২ দিনের ‘বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স’ সম্মেলন শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স’ শীর্ষক ২ দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের উদ্যোগে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এটি শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন। শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ বছর সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘গ্লোবাল ইকোনমিক ভালনারেবিলিটি অ্যান্ড বিজনেস সাসটেইনেবিলিটি’।
বিজ্ঞাপন
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোর অধ্যাপক ড. ফ্রেড ফিলিপস ‘সাসটেইনেবল বিজনেস: লাইং, ক্রাইং অর অনেস্টলি ট্রাইং’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সম্মেলনের কো-চেয়ার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. সাদিকুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, এই সম্মেলন শিক্ষাবিদ ও গবেষকসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে করোনা মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিজ্ঞাপন
টেকসই অর্থনীতির জন্য আরও মৌলিক গবেষণা পরিচালনা এবং উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে অধিকাংশ দেশই অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। বিশ্ব সম্প্রদায় এই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এবং সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট নিরসন করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে সৃষ্ট বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে শিক্ষাবিদ, গবেষক, অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক, শিল্পপতি, পেশাজীবী এবং ব্যবসায়ীদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।
এইচআর/এমএ