বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও রাকসুর সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার ( ২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা গণতন্ত্রহীনতার শেষ পর্যায়ে অবস্থান করছি। তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমরা দেখতে পাই রুহুল কবীর রিজভীরমতো নেতা যিনি গণতন্ত্রের জন্য গুলি খেয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে, তার মতো নেতাকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। এ রকম হাজার হাজার নেতাকে বিনা দোষে মামলা দিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। আমরা এই সমাবেশে বলতে চাই  খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সকল নেতার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে। না হয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য যা কিছু করার আমরা করব। 

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে যে মামলাগুলো ছিল, তা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক দিয়ে যাচ্ছে এই সরকার। বাংলাদেশের সংবিধানকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে তারা। যখনি মন চাচ্ছে তখনি সংবিধান পরিবর্তন করে আইন তৈরি করে ফেলছে। আমরা দেখেছি প্রধান বিচারপ্রতি এস কে সিনহা তাদের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তাকে কীভাবে লাঞ্ছিত করে অপসারিত করেছে। এমনটা আর হতে দেওয়া যাবে না। গণনতন্ত্র ও মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলায় রিজভী আহমেদকে জেলে রেখেছে। আমরা দ্রুত তার মুক্তি চাই। না হলে এ আন্দোলন আরও কঠোর হবে। 

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি রাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের মুক্তি, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। তিনি গণতন্ত্রের জন্য পায়ে গুলি খেয়েছিলেন। তিনি সব সময় গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে গেছেন। কিন্তু এই ফ্যাসিবাদী সরকার আজ তাকে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে আটক করেছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে।

রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহীর সভাপতিত্বি ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিঠুর সঞ্চালনায় এ সময় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্য ড. আব্দুল মতিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহিন শওকত, বিএনপি ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের সদস্য মানুনুর রশিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এনামুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট জাহাঙ্গীর আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কুদরত-ই-খুদা, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ, রাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিঠু, শাকিলুর রহমান সোহাগ, এম এ তাহের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জুবায়ের জিসান/আরএআর