১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রি স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যৌথ উদ্যোগে আগামী শনিবার ‌‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে আগামী ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন, সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন।

অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বক্তব্য রাখবেন।

রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১টা পর্যন্ত ০১ মিনিটের জন্য জরুরি স্থাপনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল জায়গায় 'ব্লাক-আউট' কর্মসূচি পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদ জোহর মসজিদুল জামিয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার মসজিদসমূহে এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের রুহের মাগফেরাত/শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা করা হবে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি :

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ মার্চ (রোববার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২৬ মার্চ সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কেন্দ্রীয় ভবন ও আবাসিক হলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত এবং সকাল ৬টা ১৫মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা ও পুষ্পস্তবক।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বাদ জোহর মসজিদুল জামিয়ায় বিশেষ মোনাজাত এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে শহীদদের রুহের মাগফেরাত/শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা করা হবে। এছাড়া, কার্জন হল ও টিএসসিতে আলোকসজ্জা করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের সন্তানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো  এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এইচআর/এমএ