বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারকেরা। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে এমনটি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, সমাজে যেভাবে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে, সে বিবেচনায় এ উদ্যোগ সচেতনতা বাড়াবে এবং মাদকের বিরুদ্ধে প্রচার বাড়বে। এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে আমরা মনে করি। আমরা প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে এটি কার্যকর হতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত হয়নি। ভর্তির আগে আলোচনা সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, মাদক নিরসন ও প্রতিরোধের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের অবশ্যই থাকতে হবে। কোনোভাবেই কোনো শিক্ষার্থী যেন মাদকাসক্ত না হয় সেজন্য সবধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা থাকা উচিত। সেক্ষেত্রে শুধু ডোপ টেস্ট নয়, বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকতে হবে। আমরা বিষয়টি আলোচনা-পর্যালোচনা করব।

এর আগে গত বছরের ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে সময় এ বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ টিটো মিঞাকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটিও করা হয়েছিল। সে কমিটি একটি নীতিমালা জমা দিলেও সেটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ভর্তি-নিয়োগে ডোপ টেস্ট সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ বিধিমালা প্রণয়নে কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরসহ অধীন দপ্তর সংস্থাগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এইচআর/জেডএস