ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছুদের যেকোনো তথ্য সহায়তা, দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বসেছে ‘হেল্প ডেস্ক।’

শনিবার (৬ মে) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, টিএসসি, কার্জন হল, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে বসে এসব হেল্প ডেস্ক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, জেলা সংগঠনগুলো হেল্প ডেস্ক বসিয়ে সহযোগিতা করছে ভর্তিচ্ছুদের। ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্রলীগ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর হেল্প ডেস্ক দেখা যায়।

সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে– প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনকরণ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, চলাচলের সুবিধার্থে বাইক সার্ভিস, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে বহন অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য হুইল চেয়ার ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সরবরাহ, অভিভাবকদের বিশ্রাম গ্রহণের ব্যবস্থা, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মেডিকেল ক্যাম্প ইত্যাদি।

স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসে বিপদে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তাদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয়, সেজন্য সহযোগিতা করতে হেল্প ডেস্ক বসিয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষার শুরু থেকে জয় বাংলা বাইক সার্ভিস, জরুরি চিকিৎসাসহ নানা ধরনের সেবা দিয়ে আসছি। ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বেশি হেল্প ডেস্কও আমরা বসিয়েছি। পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা ভর্তিচ্ছুদের পাশে থাকব।

এদিকে, সেবা পেয়ে খুশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। তারা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি এসব সেবা না দিত তাহলে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো তাদের। সেবাদাতাদের ধন্যবাদ দিতেও ভুলেননি তারা।

ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা তামান্না আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথমে এসে কেন্দ্র খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইয়াদের সহযোগিতায় খুঁজে পেয়েছি। এছাড়া আমার অনেক বান্ধবী মোবাইলও জমা রেখেছে। সবমিলিয়ে আমরা অনেক খুশি।

সাভার থেকে আসা আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার সঙ্গে অভিভাবক না আসায় মোবাইল নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারব না, তাই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। পরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ভাইয়াদের ডেস্কে সেটা জমা রেখেছি। সবাই অনেক সহযোগিতা করেছেন।

এইচআর/এসএসএইচ/