পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শনিবার (২০ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে প্রথম বর্ষের গুচ্ছভিত্তিক ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর অনুসারী মিনহাজুল প্রান্ত ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহর অনুসারী সাব্বিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেখানে সভাপতির অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের গায়ে হাত তোলেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে পরীক্ষা শেষ হলে দুপুর পৌনে ২টার দিকে দুই গ্রুপ লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। থেকে থেমে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা নাজমুল হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে  মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে কথা বলব। 

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাহিরে সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এ ঘটনায় যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় যদি ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকে তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সাধারণ শিক্ষার্থী জড়িত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বলেন, পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের কোনো গ্রুপিং নেই। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একসঙ্গে সকল কাজ সম্পাদন করে আসছি। ভর্তি পরীক্ষার জন্য আমরা জয় বাংলা বাইক সার্ভিস চালু করেছিলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলে কাউকে রেখে আসাকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ছত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, আমরা এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছি। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর