জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর ও সিল নকল করে মাইগ্রেশন নিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ পরিবর্তন করে দর্শন বিভাগে স্থানান্তর হওয়ার সময় এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই শিক্ষার্থীর নাম সবুজ আহমেদ। তিনি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে, সবুজ আহমেদ নামে ওই শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তন করার জন্য নিজেকে হিন্দু শিক্ষার্থী দাবি করে গত সোমবার ( ২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল ওদুদের স্বাক্ষর সিল জালিয়াতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীন বরাবর আবেদন করে। তখন কলা অনুষদের ডিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিভাগের চেয়ারম্যান এর সই ও সিল দেখে সন্দেহ হয়। এরপরই তিনি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর জানান।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনা সামনে আসার পর এই শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী শাহবাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, চেয়ারম্যানের সিল বানিয়ে স্বাক্ষর করে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য ডিন বরাবর আবেদন করেছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। এরপর বহিষ্কারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, বিভাগ পরিবর্তনের জন্য রেজাল্ট প্রকাশ করার সময় বিষয়টি আমাদের সামনে আসে। ডেপুটি রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন গেলে তার সন্দেহ হয়, এরপর তিনি আমাকে বিষয়টি জানান। তার সকল কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায়, সকল কাগজপত্রে জাল স্বাক্ষর ও সিল দেওয়া। পরবর্তীতে ডিন অফিসের কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন করে সবুজকে প্রক্টর অফিসে হস্তান্তর করি।

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয় এর পেছনে একটি চক্র জড়িত। প্রশাসন যদি এ বিষয়ে সূক্ষ্ম তদন্ত করে তাহলে এর সঙ্গে জড়িত সকল সদস্যদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব। 

এমএল/এসকেডি