গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে প্লেজিয়ারিজম (গবেষণা জালিয়াতি) তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে তার পিএইচডি গবেষণায় প্লেজিয়ারিজমের অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে। এরই প্রেক্ষিতে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের জন্য উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে নকলের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় সিন্ডিকেট থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন,  দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে ওঠা গবেষণা জালিয়াতি খতিয়ে দেখতে আমার নেতৃত্বে একটি কমিটি হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

অধ্যাপক রেবেকা সুলতানা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের জার্নাল অব সোশিওলজির (সমাজবিজ্ঞান পত্রিকা) একাদশতম ভলিউমের ২য় সংখ্যায় (২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে প্রকাশিত) এই প্রবন্ধটি লিখেছিলেন।

গত বছরের নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের সভাপতি মো. আখতারুজ্জামানের কাছে একটি চিঠি লেখেন। ফরিদ আহমেদ তাঁর চিঠিতে প্রবন্ধটিতে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তোলেন।

বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। ফরিদ আহমেদ দাবি করেন, প্রবন্ধটিতে রেবেকা সুলতানা কমপক্ষে ৫৩ শতাংশ চৌর্যবৃত্তি করেছেন।

এইচআর/এমএ