দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৩’ পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অবস্থিত বিভিন্ন স্কুল ও মাদরাসার শিশুদের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য পান করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে এক হাজার পাঁচশত শিশুকে দুধ পান করানো হয়।    

এরপর সকাল ১০টার দিকে পশু পালন অনুষদ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলানায়তনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘পুষ্টি ও জীবিকার উৎস হিসেবে পরিবেশ বান্ধব ডেয়রি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল।

ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, আকিজ ডেয়রি লিমিটেডের অপারেশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. এম. এ. সামাদ খান এবং বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম।                
 
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এম এ সামাদ বলেন, খাদ্য শস্য উৎপাদনে ৭০ ভাগ মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয় সেখানে দুধ উৎপাদনে ৩০ ভাগ মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। অন্যদিকে, গোবর আমাদের কৃষির জন্য খুব জরুরি। মাটির ঊর্ধ্বরতা বৃদ্ধি ও মাটির পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জৈব সার ব্যবহারের বিকল্প নেই।

এ সময় অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দুধ খেলে যেমন মস্তিষ্কের বিকাশ হয় তেমনি বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। প্রোটিনের মাত্রা পরিমিত থাকায় প্রতিদিন দুধ পান করা উচিত।

মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/এমএএস