বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অধীন ১২টি হলে বর্ধিত কমিটি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

সোমবার (৫ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম এসব কমিটির অনুমোদন দেন।

বর্ধিত কমিটিতে বিভিন্ন হলে ১২৪ জনকে পদায়ন করা হয়। আর তাতে যেন প্রাণও ফিরে পায় ঢাবি ছাত্রদল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে গতিশীল করতে ও আগামীর আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে এ বর্ধিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ নেতারা।

কমিটিতে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ১১ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৫ জন, বিজয় একাত্তর হলে ১৯ জন, কবি জসীম উদ্দীন হলে ১৫ জন, মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ২০ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৭ জন, স্যার এ. এফ. রহমান হলে ১৫ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ১৬ জন, জগন্নাথ হলে ৪ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৪ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৪ জন এবং অমর একুশে হল শাখা ছাত্রদলে ৪ জনকে পদায়ন করা হয়েছে।

ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটি আদর্শিক বৃহৎ সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখার আংশিক বর্ধিত কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তারা সবাই দীর্ঘদিনের রাজপথের পরীক্ষিত কর্মী। অধিকাংশ নেতাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নির্যাতনের স্বীকার। পরিশ্রম, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে নেতাদের। আশা রাখি, তারা ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও আওয়ামী স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশ রক্ষার আন্দোলনে এবং আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।

সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, সংগঠনকে গতিশীল করতে, সংগঠনকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে ভূমিকা পালন করে থাকেন হল শাখার নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন শ্রম দেওয়ার পর আমরা তাদের মূল্যায়ন করেছি। নিপীড়ন-নির্যাতন, নিষ্পেষণ, দুর্নীতিগ্রস্ত বাংলাদেশ থেকে সুস্থ সুন্দর সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখার আংশিক বর্ধিত কমিটির নেতারা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

এইচআর/এসএসএইচ/