ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের করিডরে বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ভাষা শহীদ আবুল বরকতের স্মরণে একটি ম্যুরাল উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (১২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে ম্যুরালটির উদ্বোধন করা হয়। 

এর আগে গতকাল (রোববার) সিটি ব্যাংকের সার্বিক সহায়তায় ম্যুরালটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। 

সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, আমি এই ম্যুরালটি তৈরি করতে ছোট অবদান রাখতে পারায় নিজেকে গর্বিত মনে করছি। একজন শিক্ষার্থী যখন এই করিডোর দিয়ে হাঁটবে, সে আবুল বরকতসহ ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে মনে করবে। আমাদের কাজ হলো আমাদের মহান শিক্ষার্থী যিনি মহান ভাষার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাকে সবার সামনে উপস্থাপন করা বিশেষত নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ভাষা আন্দোলন বা মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২১ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্বের কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসার পেছনেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য। আর এই ভাষা আন্দোলনের শহীদ হলেন আবুল বরকত৷ আজকে উদ্বোধন করা তার ম্যুরালটি আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বার্তা প্রদান করবে। এই ম্যুরালটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। 

তিনি বলেন, আমরা একটা মিউজিয়াম করব যার নাম হবে আবুল বরকত মিউজিয়াম। বর্তমানে আমাদের একটি জাদুঘর রয়েছে, যা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের পেছনের দিকে অবস্থিত। আমরা এটিকে আরও সম্প্রসারিত করে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বড় জায়গা নিয়ে এটি স্থাপনের পরিকল্পনা করেছি। এটা আমাদের দায়িত্ব যে আমাদের দেশকে স্বাধীন করার পেছনে যারা কাজ করেছেন, যারা আমাদের ভাষাকে প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করানো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। 

সম্মানিত অতিথি হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড জিয়া রহমান, সিটি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসরুর আরেফিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানসহ বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এইচআর/কেএ