আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (এআইবিএস) পেশাগত উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ বিষয়ক গবেষণা কর্মের জন্য ২০২৩-২৪ বছরের স্নাতক শিক্ষার্থী ফেলোশিপ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে।

এ বছরের এআইবিএস প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট ফেলোশিপ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক হাসান। ড. হাসান ভিজিটিং ফেলো হিসেবে ওরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লামিয়া করিমের সঙ্গে গবেষণা এজেন্ডা তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সুবিধা ব্যবহার এবং একাডেমিক লেখা ও প্রকাশনার বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণে কাজ করবেন।

এআইবিএস এছাড়া আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাতজন বাংলাদেশি পিএইচডি গবেষককে স্নাতক শিক্ষার্থী গবেষণা ফেলোশিপও প্রদান করেছে। স্নাতক ফেলোশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা হলেন সাদিয়া আশরাফি (ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়  আরবানা-শ্যাম্পেন), সামিরা বাশার (ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস, অস্টিন), রোবায়েত খন্দকার (ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস, অস্টিন), রভেজ রহমান (মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি), মানিয়া তাহের (ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-মিলওয়াকি), সালওয়া হক (নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়), শরীফ ওয়াহাব (ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি ব্লুমিংটন)।
 
ফেলোশিপ কর্মসূচির মাধ্যমে এআইবিএস বাংলাদেশি একাডেমিকদের পেশাদার উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করে থাকে এবং বাংলাদেশ বিষয়ক নতুন-নতুন গবেষণা উদ্যোগকে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশ স্টাডিজকে এগিয়ে নিতে চায়।

এআইবিএসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আমরা এআইবিএস গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট ফেলোশিপের জন্য অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আবেদন পেয়েছি দেখে অত্যন্ত আনন্দিত। এটি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশবিষয়ক গবেষণা নিয়ে আগ্রহ বৃদ্ধির প্রতিফলন। অধ্যাপক রীয়াজ আশা করেন যে, আগামী বছরগুলোতে এআইবিএস ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতা আরও বাড়াতে সক্ষম হবে।

এআইবিএস বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাডেমিয়ার পারস্পরিক যোগাযোগ এবং বোঝাপড়ার বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি কনসোর্টিয়াম। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়পর্যায়ে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করার একমাত্র সমন্বয়ক সংস্থা। বর্তমানে, ২৮টি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় এআইবিএসের সদস্য। এছাড়া ২৫টি বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য এআইবিএস বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এআইবিএস আমেরিকান ওভারসিজ রিসার্চ সেন্টার্স কাউন্সিলের (সিএওআরসি) সদস্য। 

এমএ