মাদকাসক্তি ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে ঢাবিতে পলিসি ডায়ালগ
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মাদকাসক্তি এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক সচেতনতা তৈরির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (১৩ জুন) ঢাবির আর সি মজুমদার আর্টস অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান হয়। টেকসই মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রচারের মাধ্যমে মাদকাসক্তি এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধের কারণগুলো খুঁজে বের করে তার সমাধান করার জন্য এমন আয়োজন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। উপমন্ত্রী মানসিক স্বাস্থ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকারকে স্পষ্ট করেন। একই সঙ্গে তিনি মাদকাসক্তি মোকাবিলা এবং সমাজে আত্মহত্যা প্রতিরোধে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
বিজ্ঞাপন
কী-নোট স্পিকার (মূল বক্তা) হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহজাবীন হক। মনোবিজ্ঞানের দক্ষতা এবং গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে তিনি বলেন, মাদকাসক্তি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আত্মহত্যার মতো জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টতার ওপর আলোকপাত করে প্রতিরোধ, হস্তক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদি পুনরুদ্ধারের জন্য টেকসই পন্থা সামনে নিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমরান হোসেন ভূঁইয়া পলিসি ডায়ালগ পরিচালনা করেন।
পলিসি ডায়ালগে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মো. আখতার হোসেন। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় উন্নয়ন এজেন্ডায় মানসিক স্বাস্থ্য সেবা গুলোকে একীভূত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদের দক্ষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ও এসডিজি অর্জনে কর্মক্ষম মানুষকে আয়ের উপযোগী করে তুলতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন সম্পর্কে কথা বলেন ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ক্রাউন সিমেন্ট গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা মাসুদ খান। তিনি কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বর্ণনা করেন।
মাদকাসক্তি এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে, এই জটিল সমস্যাগুলো মোকাবিলায় সমাজের সম্মিলিত দায়িত্বের ওপর পলিসি ডায়ালগে জোর আরোপ করেন তিনি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্ল্যাহ কাজল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. শারিন নাওমি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি এ.এন.এম. ফখরুল আমিন।
আরএইচটি/এমএ