ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। শিক্ষার্থীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে সুন্দর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন সেটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে এগারোটায় ঢাকা কলেজে সরকারি ৭ (সাত) কলেজের ‘কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, পরীক্ষার কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে। সেগুলো যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অমানবিক ঘটনা যেন না ঘটে, সেটি গভীরভাবে প্রত্যাশিত। তাছাড়া সব পরীক্ষাতেই নিয়ম-নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি। সেগুলো মাথায় রেখেই পরীক্ষার দায়িত্বে যারা রয়েছেন সেভাবে ব্যবস্থা করেছেন।

সাত কলেজের ব্যাপারে তিনি বলেন, অধিভুক্তির পর দীর্ঘসময় অতিবাহিত হয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি এবং একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। এটি একটি খুব ভালো দিক। শুরুতে নানা ধরনের হোঁচট খেতে হয়েছিল। এখন আনন্দের বিষয় হলো একটি পরিবর্তন আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টির সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষক ও দায়িত্বশীলরাও একমত। শিক্ষার্থীরা এখন নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে এবং সময় মতো পরীক্ষা দিতে চায়। এটি খুবই একটি ইতিবাচক দিক।

কিছু সীমাবদ্ধতা আছে উল্লেখ করে ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কিছু সমস্যা নিরূপণ করে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে সমাধানের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। শ্রেণিকক্ষ সংকট আছে, শিক্ষক সংকট আছে। ল্যাবরেটরি সংকটও প্রকট। সব মিলিয়ে গুণগত মানোন্নয়নসহ সমস্যা নিরূপণে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সাত কলেজের স্নাতক ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (১৬ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

এবার ঢাকার ১৪টি কেন্দ্রে একযোগে ৩৭ হাজার ২৮২ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

ভর্তি পরীক্ষার সুন্দর ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ঢাকার ১৪টি কেন্দ্র ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্র থেকে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীরা সুন্দর পরিবেশে স্বচ্ছতা বজায় রেখে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

অপরদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা।

নওরিন তাবাসসুম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কেন্দ্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সুন্দর ছিল। গুচ্ছের মতো এই ভর্তি পরীক্ষাও যদি বিভাগীয় শহরগুলোতেও অনুষ্ঠিত হতো তাহলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি অনেকাংশেই কমে আসতো। ঢাবি ও সাত কলেজ প্রশাসনকে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। তারা চাইলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট ও যাতায়াতের বাড়তি খরচ সহজেই কমাতে পারেন।

আরএইচটি/এমজে