ইবিতে অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি করায় চিকিৎসা কেন্দ্র ভাঙচুর
অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। মাদকাসক্ত অবস্থায় এমনটি করেছেন বলে দাবি মেডিকেল কর্তৃপক্ষের।
সোমবার (১০ জুলাই) রাত ১২টার দিকে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদ রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যসহ তার সঙ্গীরা এই ভাঙচুর চালায়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, সোমবার রাত ১০টার দিকে কাব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদুর রহমান মিল্টন তাকে ইনজেকশন দেন। এর আধঘণ্টা পর কুষ্টিয়া পাঠানোর জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন তিনি। চিকিৎসক তাকে জরুরি অ্যাম্বুলেন্সের ছাড়পত্র না দেওয়ায় তিনি চিকিৎসা কেন্দ্রের অফিসে ভাঙচুর করেন। এ সময় অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহিনুজ্জামানকেও মারধর করেন।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান জানান, অভিযোগ দিলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্যাথলজি বিভাগের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, তিনি (কাব্য) এসে দেয়ালে লাথি দেন এবং অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। পরে অসুস্থতার জন্য তাকে ইনজেকশন দেওয়া হলে তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসককে কুষ্টিয়া পাঠাতে জোরাজুরি করেন। এ সময় অ্যাম্বুলেন্স দিতে দেরি করায় ভাঙচুর চালান তিনি।
অ্যাম্বুলেন্স চালক মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান বলেন, কাব্য আমাকে ফোন দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে বলেন এবং পরিচয় জানতে চাইলে হুমকি দেন। পরে তাকে ক্যাম্পাসের বাইরে বিএম ছাত্রাবাসের পাশে শুয়ে থাকা অবস্থায় পাই। তখন তাকে মেডিকেলে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দেন। পরে তাকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু প্রক্টরিয়াল বডি অনুমতি না দেওয়ায় আমি গাড়ি দিতে রাজি না হলে আমাকে মারধর করেন।
চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকালে এসে জরুরি বিভাগে সবকিছু ভাঙচুর অবস্থায় পেয়েছি। প্রশাসনকে এ বিষয়টি জানিয়েছি। গতকাল রাতের ঘটনায় কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের বক্তব্য নিয়ে আজ লিখিত অভিযোগ দিব। তাছাড়া এখন পুলিশ তদন্ত করছে এবং এর একটি সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ এবং রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান পরিদর্শনে আসেন।
উল্লেখ্য, এর আগে টাকা ছিনতাই ও দেশীয় অস্ত্র বহনের অভিযোগে কাব্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রসহ আটক হওয়ায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুস সালাম সেলিমের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও গলায় ছুরি ধরারও অভিযোগ রয়েছে।
রাকিব হোসেন/এএএ