বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ৯৫.৪৭ স্কোর পেয়ে আট ধাপ এগিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় এবং সম্মিলিতভাবে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ; জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা; ই-গভর্ন্যান্স উদ্ভাবন; অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কিত বিষয়ে ৯৫.৪৭ পেয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে। ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বছরের অবস্থান ছিল ১২তম, যেটি এখন চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ টিম লিডার ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস জানান, উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে এপিএ নির্ধারিত সকল লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। উপাচার্যের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, এপিএ মূল্যায়নে অসামান্য এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সর্বাত্মক সহযোগিতার ফসল। এজন্য সকলকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। শিক্ষা ও গবেষণায় মৌলিক অবদান রাখার পাশাপাশি একটি আদর্শ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব মাপকাঠিতে অনাগত দিনগুলোতেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে থাকবে বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এপিএ মূল্যায়ন প্রবর্তন করা হয়।

মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ